পেশাদার ক্রিকেটটা অদ্ভূত। এখানে আপনি কখনও হিরো, কখনও বা জিরো। কখনও নায়ক, অথবা খলনায়ক।
এই যেমন দেড় দশকের বেশি সময় দেশের ক্রিকেটকে সার্ভিস দেয়া মুশফিক-রিয়াদ। এত এত ভক্ত আর ভালোবাসা, অথচ শেষটায় এসে পরিণত হন সবার গলার কাঁটায়। একের পর পর ব্যর্থ আইসিসি ইভেন্ট শেষে, যখন তাদের টনক নড়ে, ততদিনে সমালোচনা তুঙ্গে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভরাডুবির পর আর কালক্ষেপণ করেননি এই দুই সিনিয়র। তবে, নিজেদের অবসরের সিদ্ধান্ত জানাননি সতীর্থদের।
আরও পড়ুন: নতুন পেস বোলিং কোচের খোঁজে বাংলাদেশ, তালিকায় শন টেইট-উমর গুল
বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ বলেন, 'আমরা এমন কিছু আগে থেকে জানতাম না। কিন্তু যতটুকু জানতে পেরেছিলাম দ্রুত অবসর নিবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ ম্যাচটা হলে হয়তো বোঝা যেত যে মাঠ থেকে অবসর নিয়েছে। তাই হয়তো অফ দ্য ফিল্ড থেকে নিয়েছে। তবে আমরা আগে থেকে জানতাম না।'
অথচ মাথাটা উঁচু করেই ২২ গজকে বিদায় জানাতে পারতেন সিনিয়ররা। কিংবা টানা অফফর্মে হয়তো বিরতি নিয়ে সুযোগ দিতেন নতুনদের। তাসকিন আহমেদের ভাষায়, ক্রিকেটারদের এই জায়গা না ছাড়ার মানসিকতার কারণ- বাদ পড়ার শঙ্কা।
তাসকিন বলেন, 'এমন একটা সময়ে খেলোয়াড়দের একটু ব্রেকের দরকার। কিন্তু দলে কেউ তা বলতেই সাহস করে না। তারা ভাবে আমি বলব, আমাকে যদি বাদ দিয়ে দেয়। এমন চিন্তাভাবনা করলে কিন্তু ডমেনেটিং ক্রিকেটার হতেই পারবে না।'
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই আকড়ে ধরার উদাহরণ নতুন কিছু নয়। যদিও ব্যতিক্রম ছিলেন সাকিব। ম্যানেজমেন্ট-সতীর্থ সবাইকে জানিয়েই কানপুরে সাদা পোশাককে বিদায় বলেন মিস্টার সেভেন্টি ফাইভ। তাসকিনেরও স্বপ্ন, ঘোষণা দিয়ে, মাঠ থেকে ইতি টানবেন লাল-সবুজের অধ্যায়।