সাবেক এফবিআই প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করে দিলেন বিচারক

২ সপ্তাহ আগে
সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কোমির বিরুদ্ধে আনা ফৌজদারি অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির একটি বিচারক। একই সঙ্গে নিউইয়র্ক অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমসের অভিযোগও খারিজ করে দেয়া হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, অভিযোগ তদারকিকারী প্রসিকিউটর বা আইনজীবীকে বেআইনিভাবে নিযুক্ত করা হয়েছে।

বিচারক ক্যামেরন ম্যাকগোয়ান কারি বলেন, ‘ভার্জিনিয়ার ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের অন্তর্বর্তী অ্যাটর্নি হিসেবে ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী লিন্ডসে হ্যালিগানের নিয়োগ অবৈধ ছিল। ট্রাম্প তার দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার জন্য হ্যালিগানকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন।

 

হ্যালিগান ছিলেন হোয়াইট হাউসের সাবেক সহকারী। তিনি আগে কখনও কোনো মামলা পরিচালনা করেননি। বিচারক তার রায়ে বলেন, ‘মিস হ্যালিগানের ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ থেকে উদ্ভূত সমস্ত পদক্ষেপ, যার মধ্যে মিস্টার কোমির অভিযোগপত্র তৈরি এবং স্বাক্ষর অন্তর্ভুক্ত, নির্বাহী ক্ষমতার বেআইনি ব্যবহার এবং এগুলো অবশ্যই বাতিল করা উচিত।’

 

বিচারকের এই রায়ের পর এক বিবৃতিতে কোমি বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞ যে আদালত আমার বিরুদ্ধে মামলাটির অবসান করেছে। এটা ছিল বিদ্বেষ ও অদক্ষতার ওপর ভিত্তি করে এই মামলা করা হয়েছিল।’ অন্যদিকে লেটিশিয়া জেমস বলেন, আমি ‘আজকের জয়ে আনন্দিত এবং সবার প্রার্থনা ও সমর্থনের জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’

 

আরও পড়ুন: ভেনেজুয়েলা উপকূলে অভিযান চলবে: ট্রাম্পের প্রেস সচিব

 

এদিকে রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউস বলেছে, কোমি ও লিটিশিয়া জেমসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বাস্তবতা বদলায়নি এবং এই রায়ই চূড়ান্ত কথা নয়। মামলা খারিজ হয়েছে ‘উইদাউট প্রিজুডিস’ অর্থাৎ আইন মন্ত্রণালয় চাইলে ভবিষ্যতে আবার মামলা করতে পারে।

 

হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, আইন মন্ত্রণালয় খুব শিগগিরই খারিজের বিরুদ্ধে আপিল করবে। তার দাবি, হ্যালিগানের নিয়োগ আইনসম্মত ছিল এবং কোমি ও জেমসকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন বিচারক।

 

ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে কোমি ও লেটিশিয়া জেমস উভয়কেই ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে’ তার বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য অভিযুক্ত করে আসছেন। তার দাবি, কোমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ তদন্তে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আর লেটিশিয়া জেমসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অন্যায়ভাবে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছিলেন।

 

গত সেপ্টেম্বর মাসে কোমির বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ গঠন করে দেশটির বিচার বিভাগ। অভিযোগ, ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মার্কিন সিনেটের এক শুনানিতে কোমি দাবি করেন, তিনি কোনো এফবিআই কর্মকর্তাকে গণমাধ্যমে বেনামি সূত্র হিসেবে কথা বলার অনুমতি দেননি। আইনজীবীরা বলেন, কোমির এ বক্তব্য মিথ্যা ছিল।

 

আরও পড়ুন: মিয়ানমারের নাগরিকদের ‘অস্থায়ী অভিবাসন সুবিধা’ বাতিল করছে যুক্তরাষ্ট্র

 

শুনানিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন রেখে আইন প্রণয়নের কাজ ব্যাহত করার অভিযোগও আনা হয় কোমির বিরুদ্ধে। কোমি ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এফবিআইয়ের প্রধান ছিলেন। ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদের কিছুদিনের মধ্যেই তাকে বরখাস্ত করেন।

 

লেটিশিয়া জেমসের বিরুদেধ ব্যাংক জালিয়াতি এবং একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে মিথ্যা বিবৃতি দেয়ার অভিযোগ আনা হয়। ট্রাম্প পুনর্নির্বাচিত হওয়ার আগে জেমস তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন এবং এরপর থেকেই তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন