সাজাভোগের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতীয়কে হস্তান্তর

১ সপ্তাহে আগে
বাংলাদেশের রাজশাহী কারাগারে সাজাভোগ শেষে আরসালন হোসেন নামে এক ভারতীয় নাগরিককে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত দিয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রোববার (১১ মে) সকালে সোনামসজিদ সীমান্তের শূন্য রেখা দিয়ে তাকে ভারতে হস্তান্তর করা হয়।


চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ জামিরুল ইসলাম ও রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহ আলম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আরসালন হোসেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দার্জিলিং-এর ডাক্তার জাকির হোসাইন বস্তির মৃত হামিদ হোসাইনের ছেলে।


ইমিগ্রেশন পুলিশ ও কারা কর্তপক্ষ জানিয়েছে, গত বছরের (২০২৪) ২৯ নভেম্বর আরসালন হোসেনকে প্রবেশ নিয়ন্ত্রন আইনে গ্রেফতার করে রাজশাহীর রাজপাড়া থানা পুলিশ। পরদিন তাকে রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। সাজাভোগের পর দুই দেশের দীর্ঘ প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে আরসালন হোসেনকে ভারতে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়।
সিদ্ধান্ত অনযায়ী রোববার তাকে দুই দেশের ইমিগ্রেশন পুলিশ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে হস্তান্তর করা হয়।

আরও পড়ুন:  সুনামগঞ্জ সীমান্তে ৩৯ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ


আরসালন হোসেনকে ভারতে ফেরাতে সহযোগিতা করেন শামসুল হুদা নামের এক ব্যক্তি। 


এবিষয়ে শামসুল হুদা বলেন, আরসালন হোসেনের সাজায় মেয়াদ শেষ হলেও বিভিন্ন আইনী জটিলতায় তার ভারতে ফেরা আটকে গিয়েছিল। পরবর্তীতে আরসালন হোসেনের ভাই ফয়সাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে ভারতে ফেরাতে কাজ শুরু করি। এরই ধারাবাহিকতায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি ও ছাড়পত্র পাওয়া যায় ২১ এপ্রিল। এরপর রাজশাহী কারাগার কর্তৃপক্ষ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিজিবির প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে রোববার আরসালনকে হস্তন্তর করা হয়।


রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহ আলম খান বলেন, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের অনুমোদনক্রমে আরসালন হোসেনকে ভারতে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। দ্রুত পক্রিয়া সম্পন্নের পর রোববার তাকে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন পুলিশের মাধ্যমে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন