সাঁকোতেই করতি খাল পারাপার, ব্রিজের অভাবে ভোগান্তিতে ৮ গ্রামের মানুষ

৩ দিন আগে
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার করতি খালের ওপর একটি ব্রিজ না থাকায় আটটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এবং নয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। স্থানীয়রা ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পাড়ি দিয়ে যাতায়াত করছেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) জানিয়েছে, সেতু নির্মাণের জন্য সাড়ে ৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ফুলমলিক, ঘাগওয়া, গোবিন্দশ্রী, দেউলগ্রাম, পাতন, চন্দ্রগ্রাম, কটলিপাড়া ও আঙ্গুরা গ্রামের মানুষ এই সাঁকো পাড়ি দিয়ে কাজ ও স্কুলে যাচ্ছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া, কিংবা মৃত্যু হলে গ্রামের মধ্যে আনা-নেয়া করাও কঠিন হয়ে পড়ে।

 

শিক্ষার্থীরা জানায়, ভয়ে ভয়ে প্রতিদিন সাঁকো পাড়ি দিতে হয়। মাঝে মাঝে কেউ নদীতে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে।

 

ফুলমলিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিলাল আহমদ বলেন, করতি খালের দুইপাশে ছয়টি প্রাথমিক ও তিনটি মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সাঁকো পার হয়ে এপার-ওপার যাচ্ছেন।

 

আরও পড়ুন: পৌরসভায় বাস করলেও ভরসা ডিঙি নৌকায়, ভোগান্তির শেষ নেই ‘নতুন মাদারীপুর’ গ্রামবাসীর

 

বিয়ানীবাজার ক্যান্সার হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাব উদ্দিন বলেন, প্রান্তিক অর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য ব্রিজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয়রা বহুবছর ধরে পাতন-ফুলমলিক এলাকায় এই ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন।

 

আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আফতাব উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এ জেড এম তানভীর জানান, ২০২২ সালে বন্যাপরবর্তী সময়ে আলীনগরের পাতন-ফুলমলিক খালের ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রাথমিক প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন