যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে দেশের সব সেনানিবাস, নৌঘাঁটি ও স্থাপনা এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটির মসজিদে ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্যদিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
এতে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি, সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১৯৭১- বাংলার স্বাধীনতাকামীদের নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। দেশমাতৃকাকে স্বাধীন করতে সেই আঁধারের মধ্যেই প্রতিরোধের দ্বীপ জ্বেলে দেন তিন বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা। তাদের সমন্বিত আক্রমণে ভেঙে পড়তে থাকে পাকিস্তানিরা।
নৌবাহিনীর দুঃসাহসিক ‘অপারেশন জ্যাকপট’, শত্রুপক্ষের ওপর আকাশপথে বিমানবাহিনীর একের পর এক আঘাত আর সেনাবাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ—সব মিলিয়েই তৈরি হয় বিজয়ের পথ।
আরও পড়ুন: যেভাবে পালিত হবে সশস্ত্র বাহিনী দিবস
আজ সশস্ত্র বাহিনী শুধু দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষাই করছে না, সন্ত্রাস দমন, দুর্যোগ মোকাবিলা, শান্তিরক্ষা মিশন কিংবা যেকোনো সংকটে সাহসের সঙ্গে এগিয়ে আসে। নতুন প্রযুক্তি, আধুনিক অস্ত্র, আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ সব মিলিয়ে সশস্ত্র বাহিনী এখন আরও ক্ষিপ্র, আরও দক্ষ।
যুদ্ধবিমান চালানো থেকে শান্তিরক্ষা মিশনে নেতৃত্ব, নারী সদস্যরাও এখন বাহিনীর শক্তির অন্যতম অংশ। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান, নির্বাচনে নিরাপত্তা, মহাসড়ক থেকে পাহাড়, সমুদ্রের উত্তাল জলরাশি—যেখানেই দরকার, সেখানেই সরব তিন বাহিনী।
বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন মিশনগুলোতেও বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা রাখছে অসাধারণ ভূমিকা। অনেক দিন ধরেই বাংলাদে শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর অন্যতম।
সাহস, শৃঙ্খলা আর দায়িত্ব—এই তিন স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী। ২১ নভেম্বর তাই শুধু অতীত স্মরণ নয়, ভবিষ্যতেরও অঙ্গীকার।
]]>
১৪ ঘন্টা আগে
১







Bengali (BD) ·
English (US) ·