শুক্রবার (২১ নভেম্বর) খুলনার নতুন বাজার, রূপসা বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতাদের দাবি, সরবরাহ আরও না বাড়লে দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
মাছের বাজারে রুই, কাতল, তেলাপিয়া, টেংরা, পাঙ্গাস, পারসে, ভেটকি এই প্রজাতির মাছ বেশি দেখা গেছে। রুই মাছ আকার ও মানভেদে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৬০ থেকে ৩৫০ টাকা। ভেটকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে। টেংরা ৫০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চিংড়ির দামও বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া চিংড়ি এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজি দরে। আকারভেদে কিছু চিংড়ি ১৬০০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
দাম বৃদ্ধিতে ক্রেতাদের ক্ষোভ লক্ষ করা গেছে। নতুন বাজারে মাছ কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী রফিকুল আলম বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহেই দাম বাড়ছে, অথচ বাজারে মাছের অভাব নেই। এক কেজি চিংড়ি ৮০০ টাকা দিয়ে কিনতে হলো। এখন তো মাছের দাম আরও কম থাকার কথা ছিল।’
আরও পড়ুন: খুলনায় মাছের হাসপাতাল!
আরেক ক্রেতা আব্দুল হাই বলেন, ‘আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য মাছ এখন যেন সৌখিন খাবার। বাজার ঘুরে শেষে তেলাপিয়া মাছ কিনলাম, তাও বেশি দামে।’
নতুন বাজারের বিক্রেতা রফিকুল মোল্লা বলেন, ‘শীতের শুরুতে খাল-বিল শুকাতে শুরু করায় দেশি এবং চাষের মাছ বাজারে আসছে। তবে সরবরাহ এখনও চাহিদার তুলনায় কম। আগামী সপ্তাহে সরবরাহ বাড়লে দাম কিছুটা কমতে পারে।’
এদিকে সবজির বাজারেও চড়া দাম বজায় রয়েছে। শীতের সবজি প্রচুর থাকলেও দাম কমেনি। ফুলকপি ৮০ টাকা, শিম ১০০ টাকা, বেগুন ১০০ টাকা, খিরাই ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিছুটা সাশ্রয়ী মূল্যে মিলছে মুলা ও বাঁধাকপি ৪০ টাকা কেজি দরে।
তবে লাউয়ের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৩০-৪০ টাকায় প্রতি পিস বিক্রি হলেও শুক্রবার তা ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
টানা তিন সপ্তাহ ধরে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। শুক্রবার শহরের বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, যা গত সপ্তাহের সমান। বেড়েছে কাঁচামরিচের দামও ১৬০ টাকা থেকে বেড়ে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজির বাড়তি দামে ক্রেতাদেরও ক্ষোভ দেখা গেছে। তবে বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি পর্যায়ে বেশি দামেই সবজি কিনতে হচ্ছে তাদের।
]]>
১৩ ঘন্টা আগে
৩







Bengali (BD) ·
English (US) ·