সরকারের নীরবতা জাতিকে উদ্বিগ্ন করছে: সাধারণ আলেম সমাজ

৩ সপ্তাহ আগে
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত কিছু সুপারিশ নিয়ে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ, ইসলামী চিন্তাবিদ, ওলামায়ে কেরাম, গবেষক ও সচেতন নাগরিকরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানানোয় সাধারণ আলেম সমাজ এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

সোমবার (২১ এপ্রিল) সাধারণ আলেম সমাজের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুসলিম পারিবারিক ও উত্তরাধিকার আইন বাতিল, অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন এবং জাতিসংঘের সিডও (CEDAW) ভিত্তিক সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রস্তাবকে আলেম সমাজ বাংলাদেশের ধর্মীয় মূল্যবোধ, সংবিধানে স্বীকৃত ধর্মীয় অধিকার এবং রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন।

 

তারা বলেন, ‘এইসব আপত্তিকর সুপারিশ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে চলমান প্রতিবাদের পরও সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো খ্যা বা প্রতিক্রিয়া না আসায় জনগণের মধ্যে গভীর প্রশ্ন ও সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এতে মনে হচ্ছে, সরকার নীরবে এই বিতর্কিত সুপারিশকে বৈধতা দিচ্ছে কি না।’

 

তারা আরও বলেন, ‘ইসলামী মূল্যবোধভিত্তিক জনগোষ্ঠী এখনও সরকারের পাশে আছে এই আশায় যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধর্মীয় ভারসাম্য ও সামাজিক ঐক্য রক্ষায় সংবেদনশীল থাকবে। কিন্তু ধর্মীয় বিশ্বাসকে উপেক্ষা করে এনজিওপন্থী ও সেক্যুলারবাদী গোষ্ঠীর পরামর্শে আইন সংস্কারের পথে হাঁটলে তা ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে।’

 

বিজ্ঞপ্তিতে ড. ইউনূসের আশপাশে থাকা এনজিও প্রতিনিধি ও তথাকথিত উন্নয়ন বিশেষজ্ঞদের সমালোচনা করে বলা হয়, ‘তারা হয়তো আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বিবৃতি দিতে পারবে, কিন্তু দেশের ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর সামনে দায়মুক্ত নয়।’

 

সাধারণ আলেম সমাজ তিনটি দাবিও উত্থাপন করেছেন—

 

  • নারী সংস্কার কমিশনের আপত্তিকর সুপারিশসমূহ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
  • কমিশন পুনর্গঠন করে তাতে ইসলামপন্থী, হিজাবী নারী, মাদরাসা সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি ও বাস্তব সমাজ প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
  • জনগণের সম্মতি ছাড়া পারিবারিক আইন সংস্কারের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা যাবে না।

 

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, ‘আমরা এখনও দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে রাষ্ট্রের পাশে আছি। কিন্তু একপাক্ষিক ও ধর্মবিরোধী প্রক্রিয়া মেনে নেয়া হবে না। সরকার যদি বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেয়, তবে সৃষ্ট সংকটের দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন