তবে মুসলিমদের জন্য প্রশ্ন থেকে যায়, এসব লোন গ্রহণে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কী?
সরকারি লোন যদি সুদভিত্তিক হয়, তাহলে তা ইসলামের দৃষ্টিতে গ্রহণ করা জায়েজ হবে না। কারণ সুদকে ইসলামে স্পষ্টভাবে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে এবং এটি অত্যন্ত বড় গুনাহর অন্তর্ভুক্ত। রসুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুদ সম্পর্কে অত্যন্ত কঠোর সতর্কবার্তা প্রদান করেছেন।
১. হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সুদের গুনাহর সত্তরটি স্তর রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র স্তর হলো আপন মাকে বিবাহ (যেনা) করা। (সুনানে ইবনে মাজাহ-২২৭৪)
আরও পড়ুন: পারিবারিক নিরাপত্তায় যেভাবে দোয়া করতে বলেছেন নবীজি
২. ইবনু মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুদখোর, সুদদাতা, সুদের সাক্ষীদ্বয় এবং সুদের হিসাব লেখককে অভিশাপ দিয়েছেন। (মুসলিম-১৫৯৮)
এ হাদিসগুলো সুদভিত্তিক লেনদেনের ভয়াবহতা এবং ইসলামে এর নিষেধাজ্ঞার গুরুত্ব স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে।
ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী, সুদভিত্তিক লোন গ্রহণ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যদিও বাড়ি নির্মাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে অন্তর্ভুক্ত, তবে ইসলামী জীবনযাপনে সর্বাগ্রে আল্লাহর বিধান ও রসুলের সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশনা মেনে চলা অপরিহার্য।
যেহেতু আপনার কোনো সুদমুক্ত উপায় নেই, তাই আপনাকে আল্লাহর ওপর ভরসা করে তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে, যথাসম্ভব সুদমুক্ত বিকল্প খুঁজতে হবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদের সবাইকে সুদ থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
]]>