সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আছিয়া খাতুনের সই করা এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক পরিচালিত বিসিএস ব্যতীত নন-ক্যাডার পদ এবং সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত/আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্ব-শাসিত, সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন করপোরেশনের বিভিন্ন গ্রেডভুক্ত পদের নিয়োগ ‘পরীক্ষা ফি’ শর্তসাপেক্ষে পুনর্নির্ধারণ করা হলো।
প্রজ্ঞাপনের তথ্যানুযায়ী, নবম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব (নন-ক্যাডার) পরীক্ষার আবেদন ফি ২০০ টাকা, ১০ম গ্রেড ২০০, ১১তম ও ১২তম গ্রেড ১৫০, ১৩ থেকে ১৬তম গ্রেড ১০০, ১৭ থেকে ২০তম গ্রেড ৫০ এবং অনগ্রসর নাগরিকদের সব গ্রেডে চাকরির আবেদন ফি ৫০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরির আবেদন ফি ২০০ টাকা করে গেজেট প্রকাশ
আবেদন ও পরীক্ষা ফি আদায় যেভাবে
টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমেও অনলাইনে আবেদন ও পরীক্ষা ফি গ্রহণ করা যাবে এবং সেক্ষেত্রে পরীক্ষা ফি বাবদ সংগৃহীত অর্থের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমিশন হিসেবে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডকে প্রদান করা যাবে এবং কমিশন হিসেবে প্রাপ্ত অর্থের ১৫ শতাংশ ভ্যাট হিসাবে আদায় করা যাবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
* টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড পরীক্ষা ফি বাবদ অর্থ গ্রহণের পরবর্তী তিন কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাংক চেকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে জমার পর ওই প্রতিষ্ঠান অবিলম্বে চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা করবে, তবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ওই অর্থ নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে জমা করতে পারবে।
* ‘অনলাইন আবেদন’ গ্রহণ না করা হলে পরীক্ষা ফি বাবদ অর্থ চালানের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে। তবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংক ড্রাফট/পে অর্ডারে এ অর্থ গ্রহণ করতে পারবে।
* পরীক্ষা ফি বাবদ আদায়কৃত অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ১৩ ডিজিট প্রাতিষ্ঠানিক কোড এবং ৭ ডিজিট নতুন অর্থনৈতিক কোড 1422326-এ অটোমেটেড চালানে সরকারি কোষাগারে জমা করতে হবে এবং কোনো প্রতিষ্ঠান ম্যানুয়াল চালানে (টিআর ফরম) পরীক্ষা ফি জমা করতে চাইলে ১ প্রাতিষ্ঠানিক কোড (চার অঙ্কবিশিষ্ট) পরিচালনা কোড (চার অঙ্কবিশিষ্ট) অর্থনৈতিক কোড (২০০১)-এ জমা করতে হবে।
]]>