সন্ধ্যা নামতেই বাতিহীন সেতু হয়ে উঠে আতঙ্কের জনপদ

৩ সপ্তাহ আগে
চাঁদপুর-ঢাকা সড়কের মতলব সেতু প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম, কিন্তু সন্ধ্যা নামলেই সেই সেতু হয়ে ওঠে এক অন্ধকার জগত। ধনাগোদা নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুর দুই পাশে সড়ক বাতির অভাবে এখানে চলাচল করা মানুষের জন্য তৈরি হচ্ছে চরম নিরাপত্তাহীনতা। রাতে যানবাহন এবং পথচারীদের জন্য পরিস্থিতি ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা, সেতুর ফুটপাত দিয়ে চলাচলকারী নারী ও শিশুরা বিশেষভাবে আতঙ্কিত। সেখানে একমাত্র আলো হিসেবে দেখা যায় ভ্রাম্যমাণ দোকানদারদের ভ্যানগাড়ির চার্জার বাতি। সন্ধ্যার পর সেতুর দুই পাশের দোকানগুলো বন্ধ হয়ে গেলে গোটা সেতু যেন এক ভূতুড়ে পরিবেশে পরিণত হয়। এমন অন্ধকারে দুর্ঘটনা বা অপরাধের সম্ভাবনা বাড়ছে, যা উদ্বেগজনক।


মতলব সদর বাজারের ব্যবসায়ী প্রণয়, মোস্তফা ও কামাল হোসেন বলেন, 'এ সেতু নির্মাণ হওয়ার পর থেকেই এখানে কোনো ধরনের সড়ক বাতি নেই। রাতের বেলা এখানে চলাচল করতে অনেক ভয় লাগে। প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে দুর্ঘটনা ও অপরাধের পরিমাণ আরও বাড়বে।'


স্থানীয়দের দাবি, মতলব সেতু চাঁদপুর এবং লক্ষ্মীপুরসহ আশপাশের জেলাগুলোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সেতু হওয়ায় এখানে দ্রুত সড়ক বাতি স্থাপন করা জরুরি। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের মতে, সেতুটির অন্ধকারে একদিকে যেমন দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে, তেমনি অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।


আরও পড়ুন: চার লোহার সেতু যেন দীঘিনালার-লংগদুর গলার কাঁটা


চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'মতলব সেতুতে বিদ্যুৎচালিত সড়ক বাতি স্থাপন করার জন্য কোনো বরাদ্দ এখনও দেওয়া হয়নি। সাধারণত পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদগুলো স্থানীয় উদ্যোগে এসব সড়ক বাতি স্থাপন করে থাকে।'


এদিকে, মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আমজাদ হোসেন বলেন, 'যেসব স্থানে সড়ক বাতি আছে কিন্তু অকেজো, সেগুলো মেরামত ও সংস্কার করা হচ্ছে। এছাড়া, কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নতুন করে সড়ক বাতি স্থাপন করা হয়েছে।' তবে, যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, সেখানে বিকল্প উপায় বাতির ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন