সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা দেশের মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে: চরমোনাই পীর

২ সপ্তাহ আগে
দেশের প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বরিশালের চরমোনাই মাদ্রাসা মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বশীলদের সমন্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

 

চরমোনাই পীর বলেন, ‘সচিবালয়ে এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা স্বাধীনতার ৫৩ বছরে আর কখনও ঘটেছে বলে আমাদের জানা নেই। এমন ঘটনায় দেশের মানুষ আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন। দেশের প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ নথি যদি ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে বাংলাদেশ কতটুকু সুরক্ষিত-- জনগণের মনে এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’

 

চরমোনাই পীর আরও বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় যে ভবনে ঐসব ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত হতে পারে বলে অনেকের আশঙ্কা। এজন্য শুধু একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বসে থাকলে চলবে না, একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থাকে দিয়ে গভীরভাবে তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কারণ খুঁজে বের করে তার প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। প্রয়োজনে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে দিয়ে আলাদা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানাই।’

 

আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র করলে ভারতের বিষদাঁত ভেঙে দেয়া হবে: চরমোনাই পীর

 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, ‘সচিবালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন সাম্প্রতিক সময়ে তাদের কর্মতৎপরতা, দায়িত্ব পালনের বিস্তারিত কিছু অনুসন্ধান করতে হবে। এদের মধ্যে কেউ দায়িত্ব পালনে উদাসীন বা অবহেলা করে থাকলে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে হবে।’

 

তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, সেতু মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রাকটর ও কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পত্তি অর্জন করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে এদের কোনো সম্পৃক্ততা থাকলে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠিন বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’

 

পীর সাহেব চরমোনাই দেশের গুরুত্বপুর্ণ ও স্পর্শকাতর সব স্থাপনায় নিরাপত্তা আরও জোরদার ও নিচ্ছিদ্র করার আহবান জানান।

 

এতে আরও আলোচনা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সহ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও সহকারী মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ এছাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের প্রমুখ।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন