সামনে মৌসুমে জিকে সেচ প্রকল্পের সেচ সক্ষমতা বাড়বে বলে আশা প্রকল্প কর্তৃপক্ষের। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে এই পাম্পটির কাজ শুরু হয়। ১২ কোটি ৬৪ লাখ ব্যয়ে ২ বছর কাজ করে চলতি মাসে জাপানি কোম্পানি ইবারা কর্পারেশন এই পাম্পটি সচল করতে সক্ষম হয়েছে।
কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা ও মাগুরার ১ লাখ ৯৭ হাজার হেক্টর জমিতে সেচের লক্ষ্যে যাত্রা শুরু জিকে সেচ প্রকল্পের। চারটি জেলার সর্বমোট ১৩টি উপজেলায় জিকের সেচ কার্যক্রম বিস্তৃত। প্রকল্পের প্রধান তিনটি খাল, ৪৯টি শাখা খাল ও ৪৪৪টি উপশাখা খাল রয়েছে। প্রধান খালের দৈর্ঘ্য ১৯৩ কিলোমিটার। শাখা খালগুলোর দৈর্ঘ্য ৪৬৭ কিলোমিটার ও উপশাখা খালের দৈর্ঘ্য হাজার কিলোমিটার। ১৯৫১ সালে পরিচালিত প্রাথমিক জরিপের পর ১৯৫৪ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার প্রকল্পটি অনুমোদন করে।
কৃষক রুস্তুম আলী বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর আমরা জিকে পাম্পের পানি পেতে যাচ্ছি। এতদিন আমরা একটি পাম্পের পানি পেয়েছি। এখন যেহেতু দুইটি পাম্প চালু হয়েছে সরকারের কাছে দাবি এই পাম্পের পানি যেন ঠিকমতো ক্যানালে দেয় তাহলে আমরা ভালোভাবে ধান আবাদ করতে পারব।’
আরও পড়ুন: সেচ অপারেটরদের দাপটে কৃষক জিম্মি, ভেঙে পড়ছে উৎপাদন
কৃষক আহসান আলী বলেন, ‘বিগত দিনে ক্যানালে আমাদের ৭ দিন পানি দিতো আর ৭ দিন বন্ধ থাকত। আর ৭ দিনের পানি দিয়ে আবার আমাদের স্যালো দিয়ে পানি দেওয়া লাগত উৎপাদন খরচ ও বেড়ে যেত এতে আমাদের ধান বিক্রি করতে বেগ পোহাতে হতো। যেহেতু পাম্প চালু হয়েছে সরকারের কাছে অনুরোধ করব সরকার যাতে আমাদের সারা বছরই ক্যনালে পানি রাখার ব্যবস্থা করে।’
গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) প্রকল্পের পাম্প ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, দীর্ঘ প্রায় আট বছর পর বিদেশি প্রকৌশলীদের ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীদের সহায়তায় আমরা পাম্প চালু করতে সক্ষম হয়েছি।ইতিমধ্যে পাম্পটি চলমান রয়েছে। এখন থেকে যারা গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের যারা কৃষক রয়েছে তার নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে পানি সরবরাহ পাবে। ভবিষ্যৎতে আমরা এই পাম্পের মাধ্যমে ইরিগেশন অব্যাহত রাখতে পারব।