সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ৫ কাজ করবেন না

৩ দিন আগে
সকালে ঘুম ভাঙলে বিছানা থেকে আর উঠতে ইচ্ছা করে না। আবার উঠলেও বালিশের পাশে থাকা মুঠোফোনে কিছুটা সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। কিন্তু সকালটা মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে শুরু করা উচিত নয়।

দেখে নিন কোন কোন কাজ থেকে বিরত থাকবেন সকালে ঘুম থেকে উঠে-


১. সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকে বেশ খানিকটা সময় অন্ধকারে থাকেন। তারা হয়তো ভাবেন, হুট করে সূর্যের আলো চোখে পড়লে তা খারাপ। কিন্তু ঘুম থেকে ওঠার পর সূর্যের আলো গায়ে মাখা খুব দরকার। কারণ, এই সূর্য আমাদের শরীরের প্রাকৃতিক ঘড়ির সময় নির্ধারণ করে দেয়। এতে আপনার ঘুম সঠিক সময়ে এবং হজমক্রিয়া ভালোমতো হবে। এ ছাড়া সূর্যের আলো মানেই ভিটামিন ডি-র দারুণ উৎস।


২. কেউ কেউ তাড়াহুড়া করে ঘুম থেকে ওঠেন। দুম করে উঠে বসে আবার হাঁটাচলাও শুরু করে দেন। শোয়া থেকে উঠে বসার কারণে পায়ে রক্ত যেতে দেরি হয়। এতে রক্তচাপ হুট করে আশঙ্কাজনকভাবে কমে যেতে পারে। এতে কিছুক্ষণের জন্য মাথা ঘোরানো বা বিহ্বল ভাব হতে পারে। রক্তচাপ বেশি কমে গেলে তা মৃত্যুর কারণও হতে পারে। তাই ধীরে-সুস্থে ঘুম থেকে উঠতে হবে। এতে বড় ধরনের শারীরিক সমস্যা এড়ানো যাবে।

 

আরও পড়ুন: টাক মাথায় কৃত্রিম চুল লাগালে কী ক্ষতি হয় জানেন?


৩. ঘুম থেকে ওঠার পর কফি বা চা খাওয়ার অভ্যাস থাকে অনেকেরই। কেউ কেউ আবার স্বাস্থ্যগত কারণে কফি বা চা বাদ দেন। কিন্তু হুট করে এসব বাদ দেয়া উচিত নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্যাফেইনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে মানুষের শরীর। হঠাৎ করে কফি বা চা বাদ দিলে প্রচণ্ড মাথাব্যথা, জ্বর, বমির ভাব হতে পারে। এ ছাড়া মনোযোগের ঘাটতিও দেখা দিতে পারে। যদি একেবারেই ছাড়তে চান, তবে ধীরে ধীরে মাত্রা কমিয়ে দেয়া ভালো।


৪. অনেকের ঘুম থেকে উঠেই কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে। কিন্তু সকালে উঠেই না মাজলে দাঁতে টারটার নামের প্লাক জমতে শুরু করে। এসব থেকে মুখের দুর্গন্ধ, ক্যাভিটি ও দাঁতের অন্যান্য রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তা ছাড়া কফি খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করা উচিত নয়। কারণ, কফিতে থাকা অ্যাসিড দাঁতের এনামেল দুর্বল করে দেয়। কফি খাওয়ার পর পরই ব্রাশ করলে এনামেল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই কফি বা লেবুর শরবত খাওয়ার অন্তত ৩০ থেকে ৬০ মিনিট পর দাঁত মাজা উচিত।

 

আরও পড়ুন: পেটের মেদ কমানোর সহজ ৬ উপায়


৫. স্মার্ট ডিভাইস এখন আমাদের জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। ই-মেইল দেখা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোখ বোলানো—সব সময় এসব করতে করতে বেড়ে যায় মানসিক চাপ ও উদ্বেগ। এই চাপ ও উদ্বেগ আরও বেড়ে যায় যদি ঘুম চোখেই এসব দেখতে শুরু করেন। এতে সকাল সকালই বাড়তি চাপে পড়ে যেতে হয়। আর তা অব্যাহত থাকে সারা দিন। তাই অন্তত সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর কয়েক ঘণ্টা ই-মেইল বা ফেসবুক না দেখাই ভালো। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন