রোববার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১২টায় প্রেসক্লাব জামালপুর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
রুমন সরকার বলেন, ‘আমার বাবা জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলা পোগলদিঘা ইউনিয়নের চেঁচিয়াবাধা গ্রামের মরহুম ইদ্রিস আলী সরকার গত বছর মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর তার নামে বিসিআইসির সারের ডিলারশিপসহ অন্যান্য ব্যবসা এককভাবে ভোগদখল করতে মরিয়া হয়েও ওঠে আমার বড় ভাই রুমেল সরকার। দীর্ঘদিন বাবার সব ব্যবসায় আমার কোনো অধিকার থাকবে না মর্মে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিতে চাপ প্রয়োগ করে আসছে।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার জের ধরে গত ১৮ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় আমাকে বড় ভাই রুমেল সরকারের নির্দেশে ছোট ভাই লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আমার বাম হাত ভেঙে দেয়। আমার পায়ের হাঁড়ও ভেঙে গেছে। মারপিটের এক পর্যায়ে আমাকে খুন ও গুম করার চেষ্টা করে। আমি ৯৯৯ লাইনে ফোন করলে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে। পরে তারা প্রথমে সরিষাবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। চিকিৎসকরা আমার অবস্থার অবনতি দেখে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই টানা ২৪ দিন হাসপাতালের বেডে পড়ে ছিলাম। অর্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারছি না। ঘটনার দিন পুলিশ আমার ওপর হামলাকারী ছোট রাজিক রানাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আমার পরিবারের লোকজন আপস মিমাংসার কথা বলে থানায় মুচলেকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আবারও আমাকে মারপিটের হুমকি দিয়ে আসছে। আমি বর্তমানে স্ত্রী সন্তান নিয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
আরও পড়ুন: ছাগল হারানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত একজনের মৃত্যু
তিনি আরও বলেন, ‘এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করছি। আমার দুই ভাই আমাকে মিথ্যা মামলা দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। আমার ধারণা আমাকে তারা হত্যা করে লাশ গুম করতে পারে।’ তিনি তার ও স্ত্রী সন্তানের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রাজিক রানা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে নাটক সাজিয়ে বাবার সম্পদ তার অপকর্ম গোপন করার চেষ্টা করছে। আমি তো বাবার কোথায় কী আছে জানিই না। আমি রাজধানীতে পড়াশোনা করেছি। চাকরি করার ইচ্ছা ছিল। সে আমাকে চাকরি করতে দেয়নি। বিদেশে যাবার জন্য তার কাছে ২ লাখ টাকা রেখেছিলাম। যখন আমার যাবার সবকিছু ঠিকঠাক তখন টাকাটা দেয়নি। দুঃখকষ্টে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি। ঘটনার দিন আমার সঙ্গে কথা কাটাকাটি ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তার অভিযোগ মিথ্যা ও নিজের মনগড়া।’