শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে চাষাঢ়ায় শহীদ মিনারে ‘নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে এই হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
‘মার্চ ফর ইউনুস’ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সার আলিফ দেওয়ান, সরকারি তোলারাম কলেজের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান, হামিম হাসান, হাজী মিছির আলী কলেজের শিক্ষার্থী আল আমিন, মীর কাদিম হাজী আমজাদ আলী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান কৌশিক, জুলাই আন্দোলনে আহত আকরাম সাঈদ, মো. রাব্বীসহ অনেকে।
কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নন জানিয়ে সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসকে জনগণ ক্ষমতায় বসিয়েছে। সুতরাং এ সরকারের মেয়াদকাল কতটুকু হবে তাও নির্ধারণ করবে জনগণ। জুলাই আন্দোলনের বিচার এখনও হয়নি। ষড়যন্ত্রকারীরা নীল নকশা করছে। আর কেউ কেউ আছেন নির্বাচন নিয়ে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলোতে পরিপূর্ণ সংস্কারের আগে কোনো নির্বাচন করা যাবে না। মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো আগে নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: গোবিপ্রবি ছাত্র অধিকার পরিষদের শীর্ষ ২ নেতার ওপর হামলা
জুলাই গণহত্যার বিচার ও সংস্কারের আগে নির্বাচনের আয়োজন করলে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে বক্তারা আরও বলেন, ‘সংস্কার না করলে আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে নির্বাচন দিতে হবে। আমরা অনেকবছর নির্বাচনের অপেক্ষা করেছি, আর কয়েক বছরও করতে পারবো। কিন্তু সংস্কারের এ সুযোগ আমরা হাতছাড়া করবো না। রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার না হলে নির্বাচিত সরকারই আবার ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠবে। ড. ইউনূসের নেতৃত্বের এ সরকারের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আমরা দেখছি না। তাদের অন্তত সংস্কার কাজগুলো করতে দিন। আমরা ধৈর্য ধরতে প্রস্তুত।’
সংবিধান, বিচার বিভাগ, শিক্ষাখাত, সরকারি নিয়োগ, নির্বাচন ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার সংস্কার আগে জরুরি বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন পেশাজীবী শতাধিক ব্যক্তি অংশ নেন৷
একই ব্যানারে গত ১৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে জেলায় প্রথমবারের মতো ‘মার্চ ফর ইউনূস’ কর্মসূচি পালিত হয়।