শনিবার (১২ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইনিশিয়েটিভ ফর দ্য প্রমোশন অব লিবারেল ডেমোক্রেসি (আইপিএলডি) আয়োজিত বাংলাদেশে টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রতিবন্ধকতা শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
এ শিক্ষাবিদ বলেন, ভারত নিজেদের ওপর যে ডায়াগনসিস করছে, সেটা আমাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করেছে। আমাদের এখানে এগুলো অনেক কম, তারপরও যে একেবারে হয়নি তা নয়। ২০০১ সালে বলেন আর অন্য সময় বলেন এটা হয়েছে এবং এটাও একটা কনস্ট্যান্ট ভায়োলেন্সের মধ্যে পড়ে। পশ্চিমবঙ্গে এ ভায়োলেন্স আরও তীব্র।
তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানের সংখ্যা কত পার্সেন্ট? কেউ বলে ২০ কেউ বলে ২৫। আমি যদি সংখ্যাতত্ত্ব বাদ দিয়েও বলি, সেখানে পুলিশ বিভাগে-শিক্ষা বিভাগে-সরকারি চাকরিতে কত? আপনি শতকরা দুই থেকে পাঁচ ভাগও পাবেন না। এটা তো স্ট্রাকচারাল ভায়োলেন্স।
আরও পড়ুন: ‘আমরা কখনও টেবিলে বন্দুক রেখে আলোচনা করি না’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রজেক্ট নামে একটা জায়গা আছে। জায়গাটার নাম দিয়াবাড়ি। সেখানে দক্ষিণে আছে লেকের মতো, উত্তরায় আছে খালি জায়গা। এর মধ্যে অন্য কোনো দালান হবে না এমন কথা ছিল। কিন্তু হাসিনার শেষ আমলে মেট্রোরেলের কর্মীদের জন্য একটা বাড়ি তৈরি করবে চারতলা যেটা লেকের ভিউকে নষ্ট করে। ওখানে দোলনচাঁপা নামে একটা বিল্ডিং আছে। যেখানে তারেক শামসুর রহমান থাকতেন। তিনি মারা গেছেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। আরেকজন ছিলেন ড. শোয়াইব জিবরা। তিনি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, তারা (দুই অধ্যাপক) হাইকোর্টে একটা মামলা করেছিলেন রাজউকের বিরুদ্ধে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, আপনারা তো চুক্তিতে বলেছিলেন, এখানে অন্য কোনো বিল্ডিং হবে না। আপনার তাহলে সীমানা ঘেঁষে অন্য বিল্ডিং তৈরি করছেন কেন?। তখন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তাদের হুমকি দিয়ে বলা হলো, তোমরা মামলা তুলে নাও না হলে তোমাদের এখান থেকে বের করে দেয়া হবে। এটা হচ্ছে ফ্যাসিজমের একটা নমুনা।