শ্রীলঙ্কা এত বৈচিত্র্যময় বোলার বের করে আনে কীভাবে?

১ সপ্তাহে আগে
শ্রীলঙ্কার স্কুল ক্রিকেটের সুফল নিয়মিত মিস্ট্রি স্পিনার বের হয়ে আসা। মুত্তিয়া মুরালিধরন থেকে শুরু করে মহেশ থিকশানা। অধিকাংশ ক্রিকেটারই এসেছেন স্কুল ক্রিকেট খেলে। আর এমন বিশেষ প্রতিভা তুলে আনতে আলাদাভাবে নজর থাকে ডিস্ট্রিক্ট কোচদের। জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের জুনিয়র সিলেক্টর এসভি পেরেরা।

মুত্তিয়া মুরালিধরন কিংবা লাসিথ মালিঙ্গা। বৈচিত্রময় বোলিং আর অ্যাকশনের জন্য সমাদৃত লঙ্কা ক্রিকেট। যুগে যুগে এমন অনেক ক্রিকেটার উপহার দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে কীভাবে?


বর্তমান সময়ে জাতীয় দলে আছেন হাসারাঙ্গা, থিকশানা, ভেল্লালাগের মতো স্পিনার। এক সময় ত্রাস ছড়িয়েছেন অজন্তা মেন্ডিস। তাদের কীভাবে জাতীয় স্তরে নিয়ে এসেছে লঙ্কান ক্রিকেট? এ বিষয়ে কথা হয় এসএলসির জুনিয়র কোচ এসভি পেরেরার সঙ্গে। তুলে ধরলেন তৃণমূল থেকে কীভাবে প্রতিভাবান স্পিনারদের তুলে আনা হয়।


পেরেরা বলেন, ‘লম্বা একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কায় ক্রিকেটার তুলে আনা হয়। উপজেলা, জেলা, বিভাগ তারপর জাতীয় স্তর। প্রতিটি পর্যায়ে তাদের প্রতিযোগিতা করতে হয় কয়েক হাজার ক্রিকেটারের সঙ্গে। মিস্ট্রি স্পিনারদের ব্যাপারে আমাদের আলাদা নজর থাকে। উপজেলা পর্যায়ে কোচদের বলে দেয়া আছে এমন ভিন্নধর্মী প্রতিভা পেলে তাকে গুরুত্ব দিতে। এই কারণে আপনি নিয়মিত শ্রীলঙ্কা দলে মিস্ট্রি স্পিনারের দেখা পাবেন।


মিস্ট্রি স্পিনার দূরে থাক, একজন লেগ স্পিনার খুঁজে পেতেই দীর্ঘকাল লেগেছে বাংলাদেশের। রিশাদ হোসেন এখন যক্ষের ধন। নিয়মিত এমন বোলার খুঁজে পেতে কী করা উচিত বাংলাদেশের? শ্রীলঙ্কার স্কুল ক্রিকেট কমিটির সাবেক প্রধান নেলসন মেন্ডিস দিলেন পরামর্শ।


আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের মাটিতে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে গিলের রেকর্ড


মেন্ডিস বলেন, ‘শুধু মুত্তিয়া মুরালিধরন নয়, মালিঙ্গাও ছিলেন। শ্রীলঙ্কায় অনেকটা সহজাতভাবে এমন বোলার উঠে আসে। তবে তাদের জাতীয় স্তর পর্যন্ত নিয়ে আসতে অনেক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আসতে হয়। স্কুল ক্রিকেট অনেক বেশি ভূমিকা রাখে এখানে। বাংলাদেশেরও নিশ্চয়ই এমন কোনো প্রক্রিয়া আছে। তবে তা ঠিকভাবে মেনে চলা হচ্ছে কি না, সেটা দেখা দরকার। আর তৃণমূলে ভালোমানের কোচ থাকা জরুরি। ভালো ক্রিকেটার পিক করার দায়িত্বটা তাদের হাতে। বিশেষ প্রতিভা থাকা ক্রিকেটারদের গুরুত্ব দিতে হবে। তাদের খেলার সু্যোগ দিতে হবে। তাহলে নিয়মিত বৈচিত্রময় বোলার পাবে বাংলাদেশ।’


বাংলাদেশে ভিন্নধর্মী প্রতিভা উঠে আসলেও পরিচর্যার অভাবে হারিয়ে গেছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার সঠিক গাইড লাইনের অভাবে নজরই কাড়তে পারছেন না। আধুনিক ক্রিকেটে শাসন করতে হলে প্রয়োজন বোলিং অ্যাটাকে বৈতিত্র আনা। সেই কাজটা করতে হবে বিসিবিকেই।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন