বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আকাশে মেঘ থাকায় দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা না মেলায় জেলায় শীত বেড়েছে। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষজন।
আরও পড়ুন: ৪ দিন ধরে দেখা নেই সূর্যের, শীতে জবুথবু জয়পুরহাট
জানা যায়, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষি শ্রমিক ও স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষজন। তীব্র ঠান্ডায় অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টাও করছেন। তবে দিনে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়। তীব্র শীতে কষ্টে পড়েছেন ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের দরিদ্র মানুষজন।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের আমির হোসেন বলেন, ‘আমি অটোরিকশা চালাই। কিন্তু কনকনে ঠান্ডায় যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। দিনে ঠান্ডা কম হলেও রাতে হাত-পা বাইরে রাখাই মুশকিল হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ১২টি শৈত্যপ্রবাহ মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ, থাকছে শিলাবৃষ্টিও
রাজারহাট উপজেলার উমরমজিদ ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক বনিজ মিয়া জানান, জমিতে ধানের চারা তৈরির জন্য ধান ছিটাচ্ছি। কিন্তু এতো ঠান্ডা যে, কাদা পানিতে পা রাখা যাচ্ছে না। ঠান্ডার কারণে ঠিকমত কাজ করতে পারছি না। শীতের কাপড় কম থাকায় রাতে বউ বাচ্চাসহ শীত কষ্টে ভুগছি।’
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে এ জেলার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’