বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুক্রবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা গেছে, শেরপুর জেলা প্রশাসকের একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে চলতি বাংলা সনের ১লা বৈশাখ থেকে শেরপুরের নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী এই তিনটি উপজেলায় বালু উত্তোলন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে গত ৮ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারী করেন শেরপুর জেলা প্রশাসন। এরপর থেকেই ওই এলাকাগুলোতে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকার কথা। তবে, অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ এলাকাগুলো থেকে বালু উত্তোলন করছে। জেলা প্রশাসনেরে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বালু উত্তোলন অবৈধ হওয়ায় পরিবহনও অবৈধ।
অবৈধ বালু উত্তোলনকারী অসাধু ব্যবসায়ীরা গোপনে রাতের অন্ধকারে বালু পরিবহন করে থাকে এমন সংবাদের ভিত্তিতে নালিতাবাড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১২ টা থেকে পরদিন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। উপজেলার প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রাম রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের বৈশাখী বাজার ও কালাকুমা এলাকায় অবৈধ বালু পরিবহনের সত্যতা খুঁজে পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ওই এলাকায় পরিবহন করতে থাকা বালুভর্তি ৯ টি ট্রাককে আটক করেন তারা।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, চীনা নাগরিকসহ ৬ জনের কারাদণ্ড
এবিষয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আনিছুর রহমান সময় সংবাদকে বলেন, ‘সরকারি আদেশে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকায় বালু পরিবহনও অবৈধ। তাই এ অবৈধ কার্যক্রমকে রুখতে বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। এসময় বালুসহ ৯ টি ট্রাককে অবৈধ পরিবহনের দায়ে জব্দ করি এবং ট্রাকের ৯ শ্রমিককে বিভিন্ন মেয়াদে (৭ থেকে ১৫ দিনের) বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছি।’
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, জামির হোসেন (৩২), মো. গাজী শেখ (২৮), আরিফুল ইসলাম সোহাগ (২২), মো. রাকিব হোসেন (২২), আব্দুল রাসেল (২৫), মো. মমিন মিয়া (২০), জহুরুল ইসলাম খোকন (৪২), মো. আব্দুল কাদির (৩৩) এবং মো. রুকন মিয়া (২৭)।
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে বালু খেকোরা ঝিনাইগাতী উপজেলার ফকরাবাদ এলাকায় প্রায় এক ডজন ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছে। যা প্রশাসনের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থাহীনতাই প্রকাশ করবে বলে মনে করেন সুধী মহল।