শেবামেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ধর্মঘট, যুবক গ্রেফতার

৫ দিন আগে
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (শেবামেক) ইন্টার্ন চিকিৎসকরা চিকিৎসক ও কর্মচারীর ওপর হামলার ঘটনার বিচার এবং কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে কর্মবিরতিতে রয়েছেন। তবে জরুরি সেবা কার্যক্রম চালু রয়েছে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) বেলা ১২টা থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা এ কর্মবিরতি শুরু করেন। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন ওয়ার্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের উপস্থিতি নেই।

 

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. একেএম মশিউল মুনির বলেন, হামলার পর ডাক্তাররা নিরাপত্তার অভাবে কাজ বন্ধ করেছিলেন। পরে পুলিশ পাহারায় জরুরি চিকিৎসা কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হয়েছে।

 

এদিকে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন করেছেন। তাদের দাবি, হামলাকারীদের বিচার ও কর্মস্থলে স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। মিডলেভেল ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. শাখাওয়াত হোসেন সৈকত জানান, চিকিৎসক, নার্সিং অফিসার, টেকনোলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা একযোগে এই কর্মসূচি পালন করছেন।

 

এর আগে ১৭ আগস্ট স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সময় শেবামেক এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপে ইনডোর মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. দিলীপ কুমার আহত হন। এর প্রতিবাদে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ধর্মঘট ঘোষণা করেন।

 

আরও পড়ুন: ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ধর্মঘট অব‍্যাহত, চরম দুর্ভোগে রোগীরা

 

হামলাকারী হিসেবে হোসাইন আল সুহান নামের এক যুবককে কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তিনি বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র খোকন সেরনিয়াবাতের অনুসারী এবং ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য। তাকে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের ওপর হামলার মামলায় আদালতে পাঠানো হবে।

 

স্বাস্থ্যখাত আন্দোলনের সমন্বয়ক তাহমিদ ইসলাম দাইয়ান অভিযোগ করেন, জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার সময় পুলিশ তাদের কয়েকজনকে আটক করে এবং গ্রেফতারদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হয়।

 

এর পাশাপাশি ১৮ আগস্ট শেবামেকের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বাহাদুর শিকদার কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মহিউদ্দিন রনিকে একমাত্র নামীয় আসামি এবং আরও অজ্ঞাত ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হামলা, মারধর ও গুরুতর জখমের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগেও ১৪ আগস্ট রাতে ওয়ার্ড মাস্টার জুয়ের চন্দ্র শীল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মামলায় মহিউদ্দিন রনি ও নুরুজ্জামান কাফিসহ ৪২ জনকে আসামি করা হয়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন