পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে কী বলছেন বিশ্লেষকরা?

৭ ঘন্টা আগে
পাকিস্তান দাবি করলেই একাত্তর ইস্যু সমাধান হবে না, এর জন্য প্রয়োজন হবে বাংলাদেশের স্বীকৃতির। সংসদে রেজুলেশন করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পাকিস্তান ক্ষমা চাইলে মীমাংসা হতে পারে একাত্তর প্রসঙ্গ। এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

দুই দিনের সরকারি সফরে শনিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকায় আসেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার। প্রধান উপদেষ্টা, বিএনপি চেয়ারপারসন, জামায়াত আমিরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে করেন সাক্ষাৎ। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে দুই দেশের সরকারি ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের ভিসা বিলোপে একটি চুক্তিসহ সই হয় ৫টি সমঝোতা স্মারক।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, একাত্তর ইস্যুর দুই দফায় সমাধান করেছে পাকিস্তান। যদিও এ বক্তব্য নাকচ করেছে বাংলাদেশ। দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে অমীমাংসিত বিষয়গুলোকে সমাধানের ব্যাপারে উভয়েই সম্মত বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

 

সাবেক কূটনীতিক সাকিব আলী মনে করেন, আনুষ্ঠানিক ক্ষমা না চাইলে পাকিস্তানকে বন্ধু রাষ্ট্র ভাবার সুযোগ নেই। এজন্য সম্পর্ক উন্নয়নে ধীরগতির পক্ষে তিনি।

 

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে রোডম্যাপের কাজ চলছে: পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী

 

সাকিব আলী বলেন, 

পাকিস্তান বন্ধু রাষ্ট্র মানে হচ্ছে যে আপনি একাত্তরকে পুরোপুরি ভুলে যাচ্ছেন। খোলা মনে কথা না বলে যদি বলেন, ক্ষমা চাচ্ছি। তখন আমরা মনে করি, এই ক্ষমতা চাওয়াটা আসলে আন্তরিক নয়। স্বাভাবিকীকরণের ব্যাপারে সময় নিতে চাই। নানা দিক দেখে আমরা ধীরে ধীরে আগাতে চাই।

 

আর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলছেন, অনানুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনায় বৈরিতা কাটবে না। একাত্তর ইস্যু সমাধানে বাংলাদেশের স্বীকৃতিই মুখ্য। সংসদে রেজুলেশনের মাধ্যমে পাকিস্তানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ তার।

 

অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, 

বাংলাদেশ যখন বলবে যে সমাধান হয়েছে, তখনই কিন্তু সমাধান। অনানুষ্ঠানিকভাবে তারা হয়ত একাধিকবার বলেছে। কিন্তু এটার একটা আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া আছে। সবচেয়ে ভালো হয় সামিট হওয়ার পর সব সময় দুই দেশে ঘোষণা থাকে। ওই ঘোষণায় একটা ক্লোজ থাকলে জিনিসটা সমাধান হয়ে যায় বলে মনে করি। আরেকটি হতে পারে, সংসদে তারা একটি রেজুলেশন নিয়েও করতে পারে।  

 

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সঙ্গে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রীর কী আলোচনা হলো?

 

দুই বিশেষজ্ঞই মনে করেন, ‘৭১ ইস্যু সমাধান না করে ফলপ্রসূ সম্পর্ক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে বিহারিদের প্রত্যাবাসন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ফিরিয়ে দেয়ার মতো বিষয়ও থাকতে হবে আলোচনার টেবিলে। তবে, বাণিজ্য কতটা উন্মুক্ত হবে, তা নির্ভর করবে ব্যবসায়ীদের আগ্রহের ওপর।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন