ঘুষকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে পটুয়াখালীর পিপির নিয়োগ বাতিল

৬ ঘন্টা আগে
বিচারককে ঘুষকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে পটুয়াখালীর পিপি রুহুল আমীনের নিয়োগ বাতিল করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

রোববার (২৫ আগস্ট) উপসলিসিটর (জিপি-পিপি) সানা মো. মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  

 

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পটুয়াখালীর জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটরের নিয়োগ আদেশ বাতিলকরণ।

 

উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, এ অনুবিভাগের গত ১৩/১১/২০২৪ তারিখের নং-সলিসিটর/জিপি-পিপি (পটুয়াখালী)-৬২/২০২৪ (অংশ-১)-১৮৯ স্মারকমূলে পটুয়াখালী জেলার নারী ও শিশু নির্যতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর পদে মো. রুহুল আমিনের নিয়োগসংক্রান্ত আদেশ বাতিল করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

 

এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) একই ঘটনায় মো. রুহুল আমিনের সদস্যপদ স্থগিত করে জেলা আইনজীবী সমিতি। আইনজীবী সমিতির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় ১৮৪ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। আদালতের বিচারক নীলুফার শিরিনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়।

 

জানা গেছে, গত ২০ আগস্ট বিচারক নীলুফার শিরিন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সচিব, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

 

আরও পড়ুন: বিচারকের বাসায় ঘুষ পাঠানোর অভিযোগে আইনজীবী সমিতির পদ গেল পিপির

 

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার আদালতে বিচারাধীন নারী ও শিশু মামলা নং-২৬১/২৫ (ধারা ৯(৩) নারী ও শিশু)–এর আসামির পক্ষে অভিযোগ দায়েরের দুই দিন আগে থেকেই পিপি রুহুল আমিন তাকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠাতে থাকেন। কিন্তু তিনি কোনো জবাব দেননি।

 

২০ আগস্ট সকালে রুহুল আমিনের পাঠানো একজন ব্যক্তি তার বাসার গৃহকর্মীর কাছে একটি লাল ব্যাগ দিয়ে যান। ব্যাগের ভেতরে পাওয়া যায় দুটি খাম। এক খামে মামলার যাবতীয় কাগজপত্র এবং অন্য খামে ৫০০ টাকার নোটের একটি বান্ডিল (প্রায় ৫০ হাজার টাকা)। বিষয়টি বিচারককে প্রচণ্ডভাবে অপমানিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। পরে তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদক ও জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটরকে বিষয়টি জানান।


 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন