এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।
বেশ কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিরোনামে জায়গা পেয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কারোপ ইস্যু। এরপর হঠাৎ করে ৯ এপ্রিল বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৭৫টির বেশি দেশে ৯০দিনের জন্য শুল্ক স্থগিতের ঘোষণা দেন তিনি। চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ আরও উত্তপ্ত করে তুললেও, অন্যান্য দেশের জন্য স্বস্তির বার্তা নিয়ে আসে ওই ঘোষণা। এমন আকস্মিক পরিবর্তনে পুঁজিবাজারের সূচকেও বড় ধরনের উত্থান ঘটে।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে নেয়া শুল্কনীতি পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, মানুষ এটিকে অর্থনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দিন হিসেবে আখ্যায়িত করছে। কয়েক দিন ধরেই তিনি নিজের মত বদলানোর কথা ভাবছিলেন। এক সময় দ্রুত এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা লিখে ফেলা হয়। এ সিদ্ধান্তে কোনো আইনজীবীর প্রয়োজন পড়েনি। এটি হৃদয় থেকে লেখা হয়েছে বলেও জানান ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে মোকাবিলায় ভারতকে পাশে চায় চীন
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে গত মঙ্গলবার রাতে ফক্স নিউজের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শন হ্যানিটির ওই অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে সিনেটর জন নিলি কেনেডি শুল্ক নিয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে উপস্থাপকের কাছে ১৫ সেকেন্ড সময় চান।
এসময় একদল রিপাবলিকান সিনেটরের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ফোনালাপ করেন ট্রাম্প। সেখানে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা ও বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান মন্দা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সিনেটররা।
এরপর আরও কয়েকজন সিনেটরের সঙ্গে আলোচনা করেন ট্রাম্প। তারা ট্রাম্পকে শুল্কের ক্ষেত্রে প্রশাসনের সামনে দুটি পথ খোলা রয়েছে বলে জানান। এর একটি অন্য দেশকে শুল্ক কমাতে রাজি করানোর জন্য আরও পাল্টা শুল্ক আরোপ, অন্যটি গত সপ্তাহে ঘোষিত শুল্ক বহাল রাখা।
আরও পড়ুন: চীনা পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বেড়ে ১৪৫ শতাংশ
সিনেটরদের ধারণা, এই কথোপকথন ট্রাম্পকে শুল্ক স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করেছে।
]]>