পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার পাটি কারিগর সজল দে পেশাগতভাবে শীতল পাটি তৈরি করে আসছেন। পেশাটি শিখেছেন বাবার কাছ থেকে। একসময় একটি পাটি বিক্রি করতেন ৩ থেকে ৫ হাজার টাকায়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাটির ব্যবহার কমে যাওয়ায় তিনি খুঁজে পান নতুন পথ। ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং পূর্বপুরুষের পেশার আধুনিক রূপ দিতে তিনি শুরু করেন শীতল পাটি দিয়ে বিভিন্ন গৃহস্থালি পণ্যের তৈরি।
বর্তমানে তিনি পাটি দিয়ে তৈরি করছেন পাখির বাসা, টিস্যু বক্স, পেন্সিল বক্স, বাতির শেড, ডাইনিং ম্যাট, কার্পেটের বদলে নকশি মাদুর, স্যুটকেস, ব্যাগ, কলমদানি, ট্রে, ওয়ালম্যাটসহ নানা ধরনের শোপিস। এসব পণ্য দেশে এবং বিদেশেও আগ্রহী ক্রেতার নজর কাড়ছে।
আরও পড়ুন: ১৮ কিমি সড়কের ১২ ব্রিজ-কালভার্ট ঝুঁকিপূর্ণ
সজল দে বলেন, ‘শীতল পাটির কদর না থাকলেও পূর্বপুরুষের পেশা ধরে রাখতে আমি এর আধুনিক রূপ দিচ্ছি। অনেকেই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন, তবে আমি শীতল পাটি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পণ্যের মাধ্যমে নিজের কর্মসংস্থান তৈরি করেছি এবং অন্যদেরও উৎসাহ দিচ্ছি।’
বিসিক পিরোজপুরের উপ-ব্যবস্থাপক এইচ এম ফাইজুর রহমান বলেন, ‘জেলায় শতাধিক পরিবার শীতল পাটি ব্যবহার করে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ ধরনের শোপিস তৈরি করছেন। এটি জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে আমরা প্রশিক্ষণ ও সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে পাশে আছি।’
এই পেশায় জড়িত পরিবারগুলো এখন বছরে কোটি টাকার উপার্জন করছে। শিল্পটিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আরও বাড়ানো জরুরি বলে মত সংশ্লিষ্টদের।
]]>