তার মৃত্যুর খবরটি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পাপিয়া সারোয়ারের স্বামী সারওয়ার আলম। তিনি জানান, প্রয়াতের মরদেহ আজ বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে। আগামীকাল শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
পাপিয়া সারোয়ার কয়েক বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছিলেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন।
পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে, ১৯৫২ সালে ২১ নভেম্বর। ১৯৭৮ সালে সারোয়ার আলমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। স্বামী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।
বড় মেয়ে জারা সারোয়ার কলেজ অব নিউ জার্সিতে জীববিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক এবং ছোট মেয়ে জিশা সারোয়ার কানাডার অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন নির্বাহী।
পাপিয়া সারোয়ার ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে পড়াশোনা করেছেন। তার আগে তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন ও জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তী সময়ে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীতদীক্ষা নেন।
আরও পড়ুন: শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার লাইফ সাপোর্টে
১৯৯৬ সালে তিনি ‘গীতসুধা’ নামে একটি গানের দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার অসংখ্য অ্যালবাম রয়েছে। আধুনিক গানেও রয়েছে তার সাফল্য। ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি দিয়ে তিনি অসংখ্য ভক্তের হৃদয় জয় করে নিয়েছিলেন।
]]>