শাহ আরেফিন মাজারের পাথর লুটের মূলহোতা বশর গ্রেফতার

৪ সপ্তাহ আগে
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন (রহ.) এর মাজার খুঁড়ে পাথর উত্তোলনে ‘ধ্বংসের হোতা’ বশর মিয়া ওরফে বশর কোম্পানিকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার জালিয়ারপাড় গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে ১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।


গ্রেফতার বশর মিয়া ওই গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে। একই অভিযানে বৈশাখান্দী বাহাদুরপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল মালেক নামে আরও একজনকে আটক করা হয়।


উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশ ও বিজিবিকে সঙ্গে নিয়ে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় দীর্ঘদিন ধরে শাহ আরেফিন টিলা ধ্বংস ও মাজার এলাকায় পাথর লুটপাটের অভিযোগে বশর মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর থেকেই শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন শুরু হয়। প্রায় ৭ শত বছরের পুরনো শাহ আরেফিন (রহ.) মাজারে স্তুপ করে রাখা প্রায় দুই কোটি টাকার পাথর লুট করা হয়। এরপর মাজার এলাকার শতবর্ষী গাছ কেটে গর্ত খুঁড়ে পাথর তোলা হয়। এক বছরের ব্যবধানে ধ্বংস করা হয় মাজারের কবরস্থান ও খেলার মাঠ— আর সবকিছুই বশর কোম্পানির নেতৃত্বে হয়েছে।


আরও পড়ুন: সাদাপাথর লুটকাণ্ডে গ্রেফতার সাহাব উদ্দিন কারাগারে


পুলিশ ও স্থানীয়দের তথ্যমতে, বশর মিয়া আগে থেকেই শাহ আরেফিন টিলা ধ্বংসের একাধিক মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা ও পুলিশ এসল্ট মামলাও রয়েছে। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পেত না। ভাইদের নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাজার এলাকায় পাথর উত্তোলন ও দখলদারিত্ব চালিয়ে আসছিলেন।


গ্রেফতারের বিষয়টি কোম্পানীগঞ্জ নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ বলেন, ‘বশর মিয়ার বিরুদ্ধে ৪টি নিয়মিত মামলা রয়েছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে ১ বছরের কারাদণ্ড এবং সহযোগী আব্দুল মালেককে ৩ মাসের সাজা দেয়া হয়েছে। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন