শার্শায় ভ্যান চালক হত্যার প্রধান আসামি বিএনপি কর্মী

১ সপ্তাহে আগে
যশোরের শার্শা থানায় ভ্যান ছিনিয়ে নিয়ে চালক আব্দুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা এলাকায় বিএনপি কর্মী হিসেবে পরিচিত; তাদের মধ্যে প্রধান আসামি লিটন বিএনপির সক্রিয় কর্মী বলে অভিযোগ রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন সভা-সমাবেশে তাকে নেতাদের সঙ্গে সারিতে শ্লোগান দিতে দেখা গেছে।

পুলিশ জানায়, গত ১০ অক্টোবর শার্শা থানার নাভারণ এলাকা থেকে রাত অনুমান ১১টার সময় আব্দুল্লাহ নামে এক ভ্যানচালক নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় পরের দিন আব্দুল্লাহর পিতা ইউনুস আলী বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

 

পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা শাখা ও শার্শা থানা পুলিশের যৌথ টিম নিখোঁজ আব্দুল্লাহর ভ্যানটি ঝিকরগাছা এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় খুঁজে পায়। পরে পুলিশি কলাকৌশল ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ভ্যান বিক্রির সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এই সময় তারা হত্যাসম্বন্ধীয় চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন।

 

আসামিদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, নিখোঁজ আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার হয় আশানুরের নিয়ন্ত্রণাধীন পরিত্যক্ত জায়গায় থাকা প্রবাসী সুমনের বাড়ির ট্রাংকের ভিতর থেকে। তারা জানিয়েছে, ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারী মুকুল। মুকুলের নির্দেশে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আশানুর, সাগর ও আব্দুল্লাহ ওই পরিত্যক্ত ভবনে যান। পরে মুকুল নিজেও সেখানে এসে সবাই মিলে মাদকদ্রব্য ইয়াবা সেবন করে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মুকুল ধারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিমকে কোপ দিয়ে মাটিতে ফেলে এবং তাকে জবাই করে। পরে তিনজন মিলিয়ে ট্রাংকের ভিতর ভিকটিম আব্দুল্লাহর মৃতদেহ লুকিয়ে রাখে।

 

আরও পড়ুন: শার্শায় সালিশে বিএনপির ৫ কর্মীকে পিটিয়ে জখম

 

আসামিদের মধ্যে আশানুর জামান আশার নামে ৮টি মামলা এবং সাগরের নামে ৭টি মামলা রয়েছে।

 

শার্শা থানা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহীর জানান, ভ্যান চালক আব্দুল্লাহ হত্যার সংবাদ পেয়ে তিনি নিহতের বাড়িতে গিয়ে সান্তনা দেন ও সম্ভাব্য সহযোগিতা করেন। পুলিশকে দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করার অনুরোধও করেছিলেন তিনি। গ্রেফতার আসামিরা বিএনপি কর্মী কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা আগে বিএনপি করতো; কিন্তু নানান অসামাজিক কর্মকাণ্ডের কারণে বর্তমানে তাদের বিএনপির সঙ্গে কোনো সংযোগ নেই।’ তিনি দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।

 

শার্শা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম জানান, তিনজন অভিযুক্ত হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনা স্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি, আসামি আশানুরের পরিহিত রক্তমাখা হাফপ্যান্ট ও লাশ গুমে ব্যবহৃত ট্রাংক জব্দ করা হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন