গেল বছরের ডিসেম্বরে চোটের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকে বাদ পড়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার অনুপস্থিতিতে দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লিটন। তার নেতৃত্বে সেবার সিরিজও জেতে বাংলাদেশ। এবার একেবারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পেলেন লিটন দাস। এদিকে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব হারালেও দল থেকে বাদ পড়েননি শান্ত।
টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলেছেন শান্ত। সর্বশেষ বিপিএলেও একাদশে সুযোগ মেলেনি তার। তবে অভিজ্ঞতার অগ্রাধিকারে শান্তর ওপর ভরসা রেখেছেন নির্বাচকেরা।
শান্তর দলে থাকা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। ‘শান্ত আমাদের সাবেক অধিনায়ক ছিলেন। আপনি দলটার দিকে তাকিয়ে দেখুন। আপনার অভিজ্ঞতাও দরকার। ওপরে আমাদের সৌম্য আছেন। ৯০-এর কাছাকাছি ম্যাচ খেলেছেন। লিটন দাসও আছেন। এরপর আপনি তাকান, তাহলে দেখবেন যে বিস্তর ফারাক হয়েছে। শান্তর পঞ্চাশ হয়নি, ৪০-এর আশেপাশে ম্যাচ। তাই কিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় দলের সঙ্গে আপনার নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: কোনো ফরম্যাটেই কি অধিনায়ক থাকছেন না শান্ত?
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে মোট ৭টি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। এই সিরিজের জন্য মেহেদী হাসান মিরাজকে দলে রাখা হয়নি। নাসুম আহমেদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুবও বাদ পড়েছেন। সে ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচক মিরাজের চেয়ে শেখ মেহেদীকেই কিছুটা এগিয়ে রেখেছেন।
‘মিরাজ আমাদের জাতীয় দলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। বিশেষ করে টেস্ট ও ওয়ানডেতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে সেটার প্রতিফলন হয়েছে। শুধু জাতীয় দলে না। এরই মধ্যে বিশ্বকাপে আপনারা দেখবেন যে একটু পিছিয়ে রেখেছিলাম মিরাজকে। একজন ক্রিকেটার যদি চোটে পড়ে যান, তিন সংস্করণের জন্যই তিনি পিছিয়ে পড়েন। এখানে যে পাঁচ বোলার থাকবে, সবাইকে চার ওভার করে বোলিং করতে হবে। সেক্ষেত্রে শেখ মেহেদী কিছুটা এগিয়ে আছেন।’
পেস বোলিং আক্রমণেও একটি পরিবর্তন এসেছে। চোটের কারণে বাদ পড়েছেন তাসকিন আহমেদ, তার জায়গায় দলে সুযোগ পেয়েছেন আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম। পাশাপাশি শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও জাকের আলী অনিকের ওপরেও আস্থা রেখেছেন নির্বাচকরা।
আরও পড়ুন: নতুন অধিনায়ক লিটনকে শুভকামনা জানালেন শান্ত
এ প্রসঙ্গে আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, ‘একই সঙ্গে আমাদের হাতে যদি সুযোগ থাকত যে নাহিদ রানা যথারীতি আমাদের সঙ্গে আছে, তাহলে কিন্তু পাঁচ সিমারের জায়গায় চার পেসার নিতে পারতাম। সেখানে একটা ব্যাটার বাড়াতে পারতাম। সেই সুযোগটা আমাদের কাছে ছিল না। আমরা সবাইকে জায়গা দিতে পারব না। লিটন দাস যদি তিন নম্বরে থাকেন, তাহলে মিডল অর্ডারে খেলার জন্য তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন ও অনিক আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তার পাশাপাশি শান্তর নামটাও সেখানে আছে। তাই আরেকটা নাম জায়গা দেওয়ার সুযোগ আমাদের ছিল না। সুযোগ থাকলে আমি তাকে নিতাম। তিনি আমাদের টি-টোয়েন্টির পরিকল্পনায় একটু পিছনের দিকে আছেন। কিন্তু তিনি যেকোনো জায়গায় যেকোনো পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার জন্য চমৎকার ক্রিকেটার। তাকেও আমরা খেলার মধ্যে রাখব। যাতে তিনি টি-টোয়েন্টি সংস্করণে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে না থাকেন।’
]]>