শাওয়ালের ৬ রোজা ধারাবাহিক রাখতে হয়?

৪ দিন আগে
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আসে ঈদুল ফিতর। আনন্দ, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বার্তা নিয়ে আসে এ দিনটি। পবিত্র রমজান মাসব্যাপী যারা সিয়াম সাধনা করেছেন, শাওয়াল মাসে ছয়টি নফল রোজা রাখলেই মিলবে সারাবছর রোজা রাখার সওয়াব। এ ছয়টি রোজা রাখা মোস্তাহাব।

শাওয়াল মাসের ফজিলত বিশুদ্ধ হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত। হজরত আবু আইয়ুব আনসারি রা. বলেন, রসুলুল্লাহ সা. বলেছেন,

 

مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتًّا مِنْ شَوَّالٍ كَانَ كَصِيَامِ الدَّهْرِ

 

যে ব্যক্তি রমজান মাসের ফরজ রোজাগুলো রাখল, অতঃপর শাওয়াল মাসে আরও ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারাবছর ধরেই রোজা রাখল। (মুসলিম ১১৬৪)

 

শাওয়ালের রোজা রাখা ফরজ না। এটা নফল ইবাদত। তবে এর রয়েছে অগণিত সওয়াব। হাদিসে প্রিয় নবী সা. শাওয়াল মাসের প্রথমদিকে, মধ্যভাগে বা শেষাংশে নির্দিষ্ট করে রোজা রাখার কথা বলেননি। আবার রোজা ছয়টি লাগাতার রাখার নির্দেশনাও হাদিসে পাওয়া যায় না। তাই ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, 

 

শাওয়াল মাসের প্রথম দিন অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের দিনটি বাদ দিয়ে মাসের যেকোনো ছয়দিনে রোজা রাখলেই উল্লিখিত সওয়াব পাওয়া যাবে।

 

আরও পড়ুন: রাতে ঘুমিয়েও সওয়াব পাওয়া যায় যে আমলে

 

শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা পূরণ করতে পারলেই হাদিসে বর্ণিত সওয়াব পাওয়া যাবে। যাদের কাজা রোজা আছে, অসুস্থতা কিংবা নারীদের হায়েজ-নেফাসের কারণে রমজানের রোজা অপূর্ণ থাকে, তাদের জন্য নিয়ম ও করণীয় হলো, শাওয়াল মাসে তাদের ভাংতি রোজাগুলো আগে পূর্ণ করে নিবে। তারপর তারা শাওয়ালের ৬ রোজা পালন করবে।

 

হাদিসে আছে, যখন কোনো বান্দার আমল মহান আল্লাহ কবুল করেন, তখন তাকে অন্য আরও নেক আমলের তওফিক দেন। এই রোজাগুলো রাখতে পারা রমজানের রোজা কবুল হওয়ার নিদর্শন।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন