শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে শহীদ আব্দুল্লার বাড়ি বেনাপোল পোর্ট থানার পৌরসভার বড়আঁচড়া গ্রামে গিয়ে কবর জিয়ারত শেষে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন।
পরে তিনি আব্দুল্লাহর মা-বাবা, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন এবং পরিবারের খোঁজ নেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আব্দুল্লাহ এলাকার গৌরব। তার কারণে আজ আমাদের এখানে আসা। আব্দুল্লাহ শহীদ না হলে আদৌও এখানে আসার সৌভাগ্য হতো কি না আমি জানি না। আমি আশাকরি, সারা দেশ তাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে এবং তাকে জাতীয় বীরের মর্যাদা প্রদান করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারী সবাই ন্যায়বিচার পাবেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবসময় এসব পরিবারের পাশে থাকবে।’
আরও পড়ুন: দেশ গঠনে সমর্থন চাইলেন জামায়াত আমির
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শহীদ আব্দুল্লাহর বাবা আব্দুল জব্বার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোর জেলা শাখার আমির গোলাম রসুল, শার্শা থানা শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
এরআগে শফিকুর রহমান যশোর টাউন হল ময়দানে জামায়াতে ইসলামীর এক দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন ও দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মেধাবী ছাত্র ছিলেন শহীদ আব্দুল্লাহ।