পুরো ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে ছিল লিভারপুল। তবে স্বাগতিক চেলসি আক্রমণে এগিয়ে ছিল। ম্যাচের শুরুতেই এঞ্জো ফার্নান্দেজ ব্লুজদের এগিয়ে দেন। ডি-বক্সের ভেতরে নেতোর পাস পেয়ে গোল করেন এই আর্জেন্টাইন। এই এক গোলে লিড নিয়েই বিরতিতে যায় চেলসি।
দ্বিতীয় হাফের শুরুতে আবারও গোল পায় চেলসি। তবে দ্বিতীয় গোলটি আসে আত্মঘাতী থেকে। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে মাদুয়েকের শট ফন ডাইক ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজ ডিফেন্ডার কোয়ানসার গায়ে লেগে নিজেদের জালেই জড়ায় বল। এরপর বেশকিছু সুযোগ তৈরি করে লিভারপুল, তবে গোলের দেখা পায়নি। উল্টো ৮০তম মিনিটে আরও এক গোল হজম করতে বসেছিল অলরেডরা।
আরও পড়ুন: রদ্রি ও হলান্ডকে নিয়ে সুসংবাদ দিলেন গার্দিওলা
সাঞ্চোর বাঁদিক থেকে নেয়া শট দারুণভাবে ঝাঁপিয়ে আটকান লিভারপুল গোলরক্ষক অ্যালিসন। ৮৫তম মিনিটে অবশেষে গোলের দেখা পায় লিভারপুল। আলেক্সিস ম্যাক আলিস্টেরের কর্নারে চমৎকার হেডে ব্যবধান কমান লিভারপুল অধিনায়ক ফন ডাইক।
তবে বাড়ানো সময়ে পেনাল্টি পায় চেলসি। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি কোল পালমার। জানুয়ারির পর প্রিমিয়ার লিগে গোলের দেখা পেল এই ইংলিশ তারকা। তাতে ৩-১ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চেলসি।
৩৫ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় লিভারপুল। ৩৫ ম্যাচে নিউক্যাসল ও চেলসির পয়েন্ট সমান ৬৩। দল দুটির গোল পার্থক্যও সমান (+২১)। তবে নিউক্যাসল আছে চারে এবং চেলসি অবস্থান করছে পাঁচে।