লালমনিরহাটে যুবক-যুবতীদের জন্য ফ্রি কম্পিউটার ও ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ

১ দিন আগে
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে ‘শিহাব আহমেদ টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট’। তরুণ প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ ফ্রি কম্পিউটার ও ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করেছে। প্রতি তিন মাসে ৮৬৪ জন শিক্ষার্থী এই বিনামূল্যের প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন।

রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার মেডিকেল মোড়ের মৌলতন প্লাজার দ্বিতীয় তলায় ইনস্টিটিউটটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিহাব আহমেদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও তুরস্ক প্রবাসী শিহাব আহমেদ।

 

গোতামারী ইউনিয়নের শিক্ষার্থী তামান্না নিগার বলেন, ‘আমরা হাতীবান্ধার মতো প্রত্যন্ত এলাকায় বসে এমন ফ্রি ট্রেনিংয়ের সুযোগ পাবো, এটা ভাবতেই ভালো লাগছে। এখন আমরা ঘরে বসে অনলাইনে কাজ শেখার সুযোগ পাচ্ছি।’

 

সিঙ্গিমারী এলাকার শিক্ষার্থী আশিক রানা রাজু বলেন, ‘বর্তমান যুগে কম্পিউটার ও ফ্রিল্যান্সিং শেখা খুব জরুরি। এই ইন্সটিটিউট আমাদের ভবিষ্যতের জন্য বড় সহায়ক হবে, নিশ্চিতভাবে।’

 

আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে অটোরিকশা উল্টে নিহত ২

 

প্রধান অতিথি শিহাব আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে তরুণদের কর্মসংস্থানের পর্যাপ্ত সুযোগ এখনো তৈরি হয়নি। বিশেষ করে হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম দেশের প্রান্তিক অঞ্চল, যেখানে এখনো কোনো শিল্পকারখানা বা বড় ধরনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। আমাদের লালমনিরহাট জেলার প্রায় ১২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভারতের সীমান্ত, ফলে এখানকার তরুণরা দীর্ঘদিন ধরেই অবহেলিত। বিদেশে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের পর আমি ভাবলাম, এই অবহেলিত দুই উপজেলার তরুণ-তরুণীদের জন্য কিছু করতে হবে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম মিলিয়ে প্রায় দুই লাখ দশ হাজার শিক্ষার্থী ও তরুণ-তরুণী রয়েছেন। তাদের প্রযুক্তিতে দক্ষ করে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গঠনে জনশক্তি হিসেবে তৈরি করাই আমার লক্ষ্য। সেই ভাবনা থেকেই “শিহাব আহমেদ টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট”-এর যাত্রা শুরু করেছি। তরুণরা যেন ঘরে বসে অনলাইনভিত্তিক কাজ শেখে, কর্মসংস্থান তৈরি করে নিজের ভাগ্য গড়তে পারে এই লক্ষ্যেই আমাদের উদ্যোগ। আমি চাই, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম হবে ডিজিটাল বাংলাদেশের তরুণ সম্ভাবনার কেন্দ্র।’

 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা এ উদ্যোগকে হাতীবান্ধার তরুণদের জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন