রোববার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কচাকাটা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইব্রাহীম আলী। এর আগে ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের পূর্ব পাখি উড়াচর এলাকায়।
জানা গেছে, শনিবার বিকেল ৫টার দিকে পাখি উড়াচর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ফেরার সময় কয়েকজন চোরাকারবারি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে বিজিবি টহলদল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বাড়ি ফিরে যেতে নির্দেশ দেয়।
এর কিছুক্ষণ পর ২০-২৫ জন চোরাকারবারিরা লাঠি, সোঁটা, ছোরা ও বেকি নিয়ে বিজিবির ওপর হামলা চালায়। তারা সরকারি অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ারও চেষ্টা করে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরা পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এতে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সিলেট জৈন্তাপুর সীমান্তে চোরাচালানের সময় বিজিবির গুলিতে যুবক নিহত
আহতরা বিজিবি সদস্যরা হলেন, সুবেদার মো. আব্দুল আলীম, ল্যান্স নায়েক মো. মমিনুল ইসলাম, সিপাহী আল মামুন ও সিপাহী মো. শিহাব। তাদের নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বিজিবি অন্তত ২০ জন হামলাকারিকে শনাক্ত করেছে বলে জানিয়েছে।
হামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম, হাসেন আলী, হোসেন আলী, হেলাল আহমেদ, নজরুল ইসলাম, মাসুদ, মোস্তফা আলী, আজিজুল ইসলাম (হাবিবার পুত্র), আজিজুল ইসলাম (আশরাফ আলীর পুত্র), মোতালেব, রেজাউল ইসলাম, শাহ আলম, হেলাল উদ্দিন, রেজাউল ইসলাম (কাদের আলীর পুত্র), এরশাদ আলী, আব্দুল মজিদ, হোসেন আলী, আব্দুল কাদের, মোজাম্মেল হক ও ময়েজ আলী।
আরও পড়ুন: মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে নেয়া হলো ঢাকা সিএমএইচে
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইব্রাহীম আলী বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে রোববার ১০ জনকে আসামি করে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
]]>
৩ সপ্তাহ আগে
৫







Bengali (BD) ·
English (US) ·