লক্ষ্মীপুরে সওজের জমিতে উচ্ছেদ অভিযানকে ঘিরে উত্তেজনা, বুলডোজার ভাঙচুর

১ সপ্তাহে আগে
লক্ষ্মীপুরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) জমি উচ্ছেদ অভিযানকে ঘিরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ সময় তোপের মুখে পড়ে সড়ক বিভাগের দায়িত্বশীলরা। বিক্ষুব্ধ জনতা উচ্ছেদ কাজে নিয়োজিত বুলডোজারটি ভাঙচুর করেছেন।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর দালাল বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


এর আগে সকাল থেকে দালাল বাজার এলাকায় জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের সহযোগিতায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। এ সময় সড়ক বিভাগের জমিতে থাকা ৭৫টি দোকানপাট বুলডোজারের সাহায্যে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।


জানা যায়, দুপুর সোয়া ১টার দিকে বাজারে মাঝখানে থাকা একটি মসজিদের পাশের দোকান গুঁড়িয়ে দেয়ার সময় মসজিদের একাংশ ভেঙে যায়। এতে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। স্থানীয় লোকজন এবং বাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বুলডোজারটি ঘিরে রাখেন। তারা বুলডোজারে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে বুলডোজারের গ্লাস ভেঙে যায়। উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেন উত্তেজিত জনতা।


আরও পড়ুন: ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অর্ধশত দোকান উচ্ছেদ


পরে প্রশাসনের লোকজন স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের শান্ত করে। ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদটি পুনরায় মেরামত করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।


উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পদ্মাসন সিংহের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে পরিস্থিতি শান্ত করে উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখার কথা জানান তিনি।


এর আগে সকালে উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন: জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পদ্মাসন সিংহ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভি দাশ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদ আলম রানা ও সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম।


আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সৈকতের অবৈধ স্থাপনা স্বেচ্ছায় সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ


এ সময় জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার জানান, পর্যায়ক্রমে পৌরসভা ও উপজেলাগুলোর বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান চালানোর হবে। উচ্ছেদের পর সেখানে যেন পুনরায় অবৈধ স্থাপনা আর গড়ে উঠতে না পারে সেদিকে সবাইকে দৃষ্টি রাখতে হবে। এরপরও যদি কেউ এ সুযোগটি নেয়ার চেষ্টা করে, তাহলে আজকের মত অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হবে জানান জেলা প্রশাসক।


লক্ষ্মীপুরের পৌর শহরের উত্তর তেমুহনী, দালাল বাজার, জকসিন, চন্দ্রগঞ্জসহ মোট ১০টি পয়েন্টে এক হাজারটি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন