লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ ছালেহা বেগম হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ভাগ্নি জামাই

২ সপ্তাহ আগে
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মতিরহাট এলাকার গৃহবধূ ছালেহা বেগম (৫৪) হত্যার রহস্য এক সপ্তাহ পর উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকা সন্দেহে নিহতের ভাগ্নি জামাই সেলিমকে (৩৮) তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে কমলনগর থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।


তিনি জানান, ১৬ জুন দুপুরে কমলনগর উপজেলার মতিরহাট এলাকার মেঘনা নদীর তীরবর্তী একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ছালেহা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের মেয়ে ফাতেমা বেগম অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর জেলা পুলিশ সুপার মো. আক্তার হোসেনের নির্দেশে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুল হাসানের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়।


তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সোমবার (২৩ জুন) রাতে ঢাকার আশুলিয়া সেনা মার্কেট এলাকা থেকে ঘাতক সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ছালেহার কাছ থেকে লুটে নেওয়া প্রায় এক ভরি স্বর্ণালঙ্কার স্থানীয় একটি জুয়েলারি দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়।


ওসি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তিনি জানান, ঘটনার রাতে সেলিম ‘জরুরি কথা’ বলার অজুহাতে খালা শাশুড়ি ছালেহাকে মোবাইল ফোনে ডেকে ঘর থেকে বের করে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর ছালেহার সঙ্গে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ছিনিয়ে নিতে সেলিম তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।


আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনে গুলি: রাজবাড়ীতে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার


নিহত ছালেহা চরকালকিনি ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মৃত শাজাহানের স্ত্রী। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি স্থানীয় ছিদ্দিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে গোপনে বিয়ে করেন। এ নিয়ে তার সন্তানদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং দীর্ঘদিন ধরে তিনি বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করছিলেন।


ঘাতক সেলিম কমলনগর উপজেলার চরশামছুদ্দিন এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে। পেশায় তিনি একজন ভ্রাম্যমাণ শরবত বিক্রেতা। মঙ্গলবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।


পুলিশ জানিয়েছে, ছালেহা বেগম হত্যাকাণ্ডটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং লুটের উদ্দেশ্যেই এই নির্মম ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন