জনরোষের শিকার ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম সাইফুল ইসলাম মুরাদ। তিনি সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি। মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছাত্র-জনতার উপর প্রকাশ্যে হামলা ও খুনের অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, হাসিনার পতনের পর থেকে মুরাদ হোসেন গা-ঢাকা দেয়। মাঝেমধ্যে তাকে কিছু সময়ের জন্য হাট-বাজারে দেখা যায়। মুরাদ হোসেনকে ধরতে পুলিশ একাধিকবার বিভিন্ন স্থানে অভিযানও চালায়। কিন্তু তাকে ধরা সম্ভব হয়নি। রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগ নেতা মুরাদ হোসেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আশপাশে ঘুরতে দেখে ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে তাকে আটক করে। পরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, খুনি একেএম সালাউদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে ৪ আগস্ট মুরাদ হোসেন ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও গুলিবর্ষণে সরাসরি অংশ নেয়। শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার বরিশালের আওয়ামী লীগ নেতা সানা
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ বলেন, সাইফুল ইসলাম মুরাদ নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাত্র-জনতা পুলিশে সোপর্দ করেছে। ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় সে জড়িত ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হামলার ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।