লংমার্চ থেকে ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি, আপসহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়

৩ সপ্তাহ আগে
ভারতের প্রভুত্ব ছাড়ার বার্তার পাশাপাশি সব ধরনের ষড়যন্ত্র বন্ধে ভারতের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা টু আগরতলা লংমার্চ কর্মসূচি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে গিয়ে শেষ হয়েছে।

ভারতের ত্রিপুরা সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা অবমাননা, মিডিয়ায় অপপ্রচার ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এই লংমার্চ কর্মসূচি পালন করা হয়।

 

লংমার্চ ঘিরে সীমান্ত এলাকায় ছিল কড়া নিরাপত্তা।

 

কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এস জিলানী। প্রধান অতিথি ছিলেন, যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যুবদল সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম।


এছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান।

 

বক্তব্য রাখেন, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ফখরুল ইসলাম।

 

ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ‘এ দেশে আওয়ামী লীগের কোনো অস্তিত্ব নেই। এদেশের মানুষ ভারতের আগ্রাসী মনোভাব মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ। আবার যদি পতাকা অবমাননা হয় তাহলে আমরা এর কঠোর জবাব দিবো।


আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার বিচার দাবিতে জামালপুরে লং মার্চে ছাত্র-জনতার হুঁশিয়ারি

 

যুবদল সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘ভারতে বাংলাদেশের পতাকা পুড়ানোর সময় সেখানে পুলিশ ছিলো নীরব। এটি অবমাননা। তারা প্রতিবেশী দেশ কিন্তু বন্ধু হতে পারেনি। তারা তিস্তার পানি না দিলেও ফেনী নদী থেকে নিয়ে গেছে। তারা পররাষ্ট্র নীতি কি হবে শেখায়। আগে তাদের জাহাজ ভিড়তে দিতে হয়। স্বাধীনতার পর থেকে তারা শোষণ করে আসছে। আমরা জামদানি পাঠাই, ইলিশ পাঠাই। তারা ফেলানীর লাশ আর ফেনসিডিল দেয়।’

 

যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘বাংলাদেশের হাইকমিশন নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব ভারত সরকারের। তারা আমাদের সহকারী হাই কমিশনে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আমি আমাদের সহকারী হাই কমিশনে ভারতীয় উগ্রবাদীদের হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।’

 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে আপনারা প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে হবে। বাংলাদেশের বাহিরে আমাদের কোনো প্রভু নেই। আমরা রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিবেশীকে রাষ্ট্র হিসেবে চিন্তা করি।

 

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এদেশের জনগণ যে কোনো মুহূর্তে প্রস্তুত আছে। যেকোনো ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত আছে। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ অপোষহীন। আমাদের কাছে বাংলাদেশ প্রথম, বাংলাদেশ আমাদের প্রাণের স্পন্দন। আমরা কারো রক্ত চক্ষুকে ভয় পাই না।’

 

আরও পড়ুন: ত্রিপুরার লং মার্চকে কেন্দ্র করে সীমান্তে বিজিবি নিরাপত্তা জোরদার

 

অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের মাটিতে এনে বিচার কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্যে বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

 

এর আগে সকাল থেকে অন্তত আট থেকে ১০টি জেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতরা আখাউড়া আসতে থাকেন। দুপুরে বন্দর এলাকায় হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

 

এদিকে লং মার্চকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই বিজিবি পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। স্থল বন্দর এলাকা থেকে কাউকে কাস্টমস ইমিগ্রেশন এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। কেবলমাত্র দুই দেশের পাসপোর্ট ধারী যাত্রীরা যথারীতি আসা-যাওয়া করেছেন।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন