নারীরা ৩ হরমোনজনিত সমস্যায় বেশি ভোগেন

২ দিন আগে
বয়সভেদে নারীর বিভিন্ন হরমোনজনিত সমস্যা হতে দেখা যায়। যেমন শৈশব-কৈশোরে থাইরয়েড বা স্টেরয়েড বা গ্রোথ হরমোনের অসামঞ্জস্যের কারণে অনেকে খর্বকায় হয়, স্থূলকায় হয়ে পরে বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশে সমস্যা হয়।

নারীদের হরমোনজনিত সমস্যাগুলো বেশ সাধারণ এবং এগুলো বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। জেনে নিন ৩টি হরমোন সমস্যা সম্পর্কে যা নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়-


১.ইস্ট্রোজেনের ভারসাম্যহীনতা: ইস্ট্রোজেন হরমোন নারীদের প্রজনন এবং মাসিক চক্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অতিরিক্ত বা কম ইস্ট্রোজেন শরীরে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এর তিনটি কারণও রয়েছে, মেনোপজ বা পেরিমেনোপজ। পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল বা হরমোনাল চিকিৎসা।

উপসর্গ হিসেবে আপনি দেখবেন, অনিয়মিত মাসিক, ত্বকের সমস্যা, যেমন ব্রণ। ওজন বৃদ্ধি বা শরীরের ফ্যাট জমে যাওয়া। মেজাজ পরিবর্তন, যেমন ডিপ্রেশন বা অস্থিরতা।

 

২. থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা: থাইরয়েড হরমোন শরীরের মেটাবলিজম এবং শক্তি ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হাইপোথাইরয়েডিজম (কম থাইরয়েড) বা হাইপারথাইরয়েডিজম (বেশি থাইরয়েড) নারীস্বাস্থ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এর কারণ হতে পারে- অটোইমিউন রোগ (হাশিমোটো বা গ্রেভস ডিজিজ)। আয়োডিনের অভাব বা অতিরিক্ততা। পারিবারিক ইতিহাস।

উপসর্গ হতে পারে- ক্লান্তি বা দুর্বলতা, অনিয়মিত মাসিক চক্র, চুল পড়া বা চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, ওজন কমা বা বেড়ে যাওয়া।

 

৩. ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম: পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম একটি হরমোনজনিত সমস্যা যা ওভারিতে সিস্ট তৈরি করে এবং ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সাথে সম্পর্কিত। এর কারণ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা। জেনেটিক ফ্যাক্টরও রয়েছে।

উপসর্গ হতে পারে- অনিয়মিত বা বন্ধ মাসিক, অতিরিক্ত চুলপড়া বা ব্রণ। ওজন বৃদ্ধি, বিশেষত পেটের চারপাশে। বন্ধ্যাত্বও হতে পারে।


প্রতিরোধ এবং ব্যবস্থাপনা-


১. সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা।


২. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো।


৩. চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনমতো হরমোনাল থেরাপি বা ওষুধ গ্রহণ।


৪. মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান এবং রিল্যাক্সেশন পদ্ধতি অনুসরণ করা।

 

আরও পড়ুন: শীতে বাতের ব্যথার লক্ষণ ও করণীয়

 

যদি কোনো নির্দিষ্ট উপসর্গ দেখা দেয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

 

আরও পড়ুন: শীতে মাথা ব্যথা, সমাধান ৩ মশলায়

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন