শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) ও সহকারী পুলিশ সুপার আ. ম. ফারুক।
আটকরা হলেন: মহেশখালী উপজেলার বড়মহেশখালী ইউনিয়নের মাঝের ডেইল এলাকার আনজু মিয়ার ছেলে শাহ আলম (৪০) ও একই ইউনিয়নের দেবাঙ্গ পাড়ার আব্দুল লতিফের ছেলে মো. আদিল ওরফে আদিল্ল্যা (৩৫) এবং উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মাদারবুনিয়া এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুল জলিল (২৯)।
সহকারী পুলিশ সুপার আ. ম. ফারুক বলেন, ‘শুক্রবার ভোরে কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ কলাতলী এলাকায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দুর্বৃত্ত-চক্রের কাছ থেকে সংগৃহীত একটি অস্ত্রের চালান অন্যত্রে পাঠাতে কয়েকজন লোক অবস্থান করছে, এমন খবর পায় র্যাব। পরে র্যাবের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্দেহজনক ৩ জন লোক একটি ইজিবাইক ফেলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। পরে ধাওয়া দিয়ে ধাওয়া তাদের আটক করতে সক্ষম হয় র্যাব সদস্যরা।’
আরও পড়ুন: অস্ত্র হাতে ভাইরাল ২৬ মামলার আসামি তাইজুল গ্রেফতার
‘এ সময় ইজিবাইকটি তল্লাশি চালিয়ে বস্তা উদ্ধার করা হয়। পরে বস্তাটি খুলে পাওয়া যায় ১টি বিদেশি অটোমেটিক রাইফেল, ৬১টি রাইফেলের গুলি, ৮টি পিস্তলের গুলি ও কয়েকটি মোবাইল ফোন। এ সময় পরিবহন কাজে ব্যবহৃত ইজিবাইকটি জব্দ করা হয়।’
আটকদের স্বীকারোক্তির বরাতে র্যাবের এ গণমাধ্যম কর্মকর্তা বলেন, ‘চিহ্নিত অস্ত্র ব্যবসায়ী শাহ আলম রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি দুর্বৃত্তচক্রের কাছ থেকে উদ্ধার অস্ত্রের চালান সংগ্রহ করেন। পরে শাহ আলম বিকাশের মাধ্যমে ইজিবাইক চালক আব্দুল জলিলের কাছে টাকা পাঠান। টাকা বুঝে পাওয়ার জলিল নিজের গাড়িযোগে অস্ত্রের চালানটি নিয়ে কক্সবাজার আসছিলেন। কক্সবাজার পৌঁছার পর অস্ত্রের চালানটি শাহ আলম ও আদিলের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল।’
আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান এএসপি আ. ম. ফারুক।