ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগ কাঠামোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট। সারা বছর প্রায় চাতক পাখির মতো ক্রিকেটাররা অপেক্ষা করেন এই আসরের জন্য। অর্থকড়ি এবং খেলার মানের কারণেই এর চাহিদা ক্রিকেটার, ক্লাব এবং সমর্থকদের কাছে অনেক বেশি।
কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এই ডিপিএলের সূচি নিয়ে বিপাকে ক্রিকেট বোর্ড। বাৎসরিক ক্যালেন্ডার মেনে গত কয়েক বছর ধরেই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ যখন হয়, তখন দেশজুড়ে চলে রমজান মাস। সঙ্গে থাকে প্রচন্ড গরম। কোনভাবেই এই সময়টাকে এড়াতে পারছে না ক্রিকেট বোর্ড। এ নিয়ে ক্রিকেটার-ক্লাব দুই পক্ষ সমালোচনা করলেও এখন পর্যন্ত এর সমাধান খুঁজে পায়নি কোনো পক্ষ। সিসিডিএম থেকেও দেখা যায়নি দৃশ্যমান কোনো পরিকল্পনা।
কিন্তু তামিম ইকবালের এবারের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো ক্রিকেট ফ্যাটার্নিটিকে। এর আগেও অনেক ক্রিকেটার অসুস্থ হয়েছেন, ইনজুরিতে পড়েছেন গরম আর রোজার মধ্যে খেলতে গিয়ে। তবে, তামিমের অসুস্থতা ছাড়িয়ে গেছে সব কিছুকে। তাই, নতুন করে শুরু হয়েছে পুরনো আলোচনা। এ সূচি কোনভাবেই বদলানো যায় না? বিসিবিও সমব্যাথি ক্রিকেটারদের সঙ্গে, কিন্তু আসর বাতিল বা পেছানোর বিষয়ে সম্মতি নেই তাদের। বিসিবির পক্ষ থেকে এর পেছনের যুক্তিটা জানালেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
আরও পড়ুন: আমাকে বলা হলো তামিম আর বেঁচে নেই: আকরাম
ফাহিম বলেন, ‘রোজার মধ্যে খেলার অনেক নেগেটিভ ব্যাপার আছে। অন্যদিকে যদি ভাবি, রোজার একমাস না খেললে কী দাঁড়াবে? একমাস বন্ধ করে দিলে তারপরে কিন্তু আমরা খেলতে পারব না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারব না। এমন হতে পারে তখনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থাকবে। ওইসব ভাবলে দেখা যাবে খেলা বন্ধ করা যাবে না।’
সমস্যাটা যখন প্রকট, এর সমাধানও খুঁজতে হচ্ছে বোর্ডকে। বিষয়টা নিয়ে বেশ আন্তরিক বিসিবি। তাই ডিপিএলের ক্যালেন্ডার না বদলে কীভাবে ক্রিকেটার ফ্রেন্ডলি করা যায়, সেটা ভাবা হচ্ছে। আগামী মৌসুম থেকেই যে পথে হাঁটবে সিসিডিএম।
ফাহিম বলেন, ‘ঢাকার মাঠে খেলার পর সহজেই সবাই বাড়ি চলে যায়। ভালো করে ঘুমায়, পরদিন সকালে ভালো করে আসে। বিকেএসপিতে গেলে কিন্তু সেটা হচ্ছে না, যেতে হচ্ছে খুব ভোরে, আসতে হয় রাতে। এর মধ্যে যে সময়টুকু পায়, তার মধ্যে মনে হয় না খুব ভালো রিকভারি হয়। এই জায়গাটায় আমাদের ভাবার সুযোগ আছে। এটা করতে পারলে মনে হয় রোজা খুব বড় বাধা হবে।’