রেলপথ অবরোধ করে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ৬ ট্রেন আটকা

৩ দিন আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ কর্মসূচির কারণে ছয়টি ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়েছে। এর ফলে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এতে হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছেন।

রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলওয়ে স্টেশনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। ৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে ও সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর পুলিশের ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে শিক্ষার্থীরা রেললাইন অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ  শুরু করেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রেলওয়ে স্টেশনে আসেন পশ্চিমাঞ্চল রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।


এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চিফ অপারেটিং কর্মকর্তা আহসানুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে তিনটি ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা আরও তিনটি মোট ছয়টি ট্রেন বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছে।


আরও পড়ুন: রাবিতে চলছে কমপ্লিট শাটডাউন


তিনি জানান, ‘কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস’ রাজশাহী হতে ছাড়ার সময় ছিল আড়াইটা। ‘টুঙ্গি এক্সপ্রেস’ রাজশাহী হতে ছাড়ার সময় ছিল সাড়ে ৩টা। ‘পদ্মা এক্সপ্রেস’ রাজশাহী থেকে ছাড়ার সময় ছিল ৪টা। শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধের কারণে তিনটি ট্রেন সময়মত ছেড়ে যেতে পারেনি।


অপরদিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ‘বনলতা এক্সপ্রেস’, ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ দৌলতপুর স্টেশনে ও ‘সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস’ খুলনা স্টেশনে অবস্থান করছে। এসব ট্রেনের যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।


পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চিফ অপারেটিং কর্মকর্তা বলেন, শনিবার ও রোববার মিলে কোনোভাবেই ট্রেনের সিডিউল মেলানো যাবে না। পশ্চিমাঞ্চল রেলপথে যাতায়াতকারী প্রত্যেকটি ট্রেন অন্তত ছয় থেকে সাত ঘণ্টা বিলম্ব হবে।


আরও পড়ুন: রাবিতে বহুমাত্রিক সংকট, কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা


এ দিকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের প্লাটফর্মে এবং ট্রেনের সিটে বসে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। তারা জানান, ট্রেন ছাড়ার নির্ধারিত সময় পার হলেও ট্রেন ছাড়েনি। ট্রেন না ছাড়ার কারণে বসে থাকতে হচ্ছে আমাদের। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে জানাতে পারছে না কখন ট্রেন ছাড়বে। অনেকেই টিকিট ফেরত দিয়ে টাকা নিয়ে বাসে বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রা করেছে।


এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মাহবুব আলম জানান, আমরা এর আগে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে শনিবার এবং আজকে আন্দোলনে নেমেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই কর্মসূচি প্রত্যাহার করব না।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন