তালা লাগানোর সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না। তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবির ব্যাপারে প্রশাসন যদি অগ্রগতি না দেখায়, তাহলে আন্দোলনের মাত্রা আরও বাড়ানো হবে।
শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মুখপাত্র রাকিন খান অভিযোগ করে বলেন, ‘রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে দাফতরিকভাবে অপসারণ না করা পর্যন্ত আমরা এই তালা খুলব না এবং খুলতেও দেব না। মনিরুল ইসলাম ভোলার মনপুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি জুলাই আন্দোলনের সময় ছাত্রদের ন্যায্য দাবির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকা সত্ত্বেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনে প্রভাব বিস্তার করছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুশাসনের পরিপন্থী।’
আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
এ সময় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিন স্যারকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করেছে এবং তাকে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল থেকে বাদ দিয়েছে। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না।’
কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী স্বপ্নিল অপূর্ব রকি বলেন,রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন। তারপরও তাকে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাজনক। আমরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।
এর আগে, গত ২৪ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রারের অপসারণসহ চার দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো সাড়া না পাওয়ায় তারা এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার পক্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন সভার ভিডিও ফাঁস
শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবিগুলো হলো:
১) অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ প্রত্যাহার করে তাকে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে পুনর্বহাল করা।
২) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামকে অবিলম্বে অপসারণ করা।
৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন লাভজনক কমিটিতে থাকা স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের সহযোগী শিক্ষকদের অপসারণ করতে হবে।
৪) বিতর্কিত শিক্ষকদের পুনর্বাসনের ঘটনায় উপাচার্যকে প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ ও ক্ষমা চাইতে হবে।