টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। যদিও শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন গুরবাজ। এরপর আফগানিস্তান আরেক ওপেনার সিদ্দিকুল্লাহ আতালকেও হারায় দ্রুতই। ২৪ রানে আফগানিস্তানের ২ উইকেট নিয়ে চাপ সৃষ্টি করে জিম্বাবুয়ে।
সেই চাপ বজায় রাখে জিম্বাবুয়ের বোলাররা। দলীয় ২৫ রানে আফগান ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ ইশাককে তুলে নিয়ে সফরকারীদের বিপদে ফেলে জিম্বাবুয়ে। দলের হাল ধরার চেষ্টা করা হযরতুল্লাহ জাযাই ২০ রান করে ফিরলে আফগানিস্তানের স্কোরবোর্ডে তখন রান মাত্র ৩৩।
সেখান থেকে দলের হাল ধরেন করিম জানাত। তার অপরাজিত ৪৯ বলে ৫৪ এবং শেষ দিকে মোহাম্মদ নবির ২৭ বলে ৪৪ রানের উপর ভর করে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় আফগানরা। জিম্বাবুয়ের হয়ে ২৮ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন রিচার্ড এনগারাভা।
আরও পড়ুন: এক ওভারের জন্য নাভিন উল হক করলেন ১৩ বল
জবাব দিতে নেমে জিম্বাবুয়ে প্রথম উইকেট হারায় ১১ রানে। ৯ বলে ৯ রান করে নাভিন উল হকের বলে আউট হন মারুমানি। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ৭৫ রানের জুটি গড়ে জিম্বাবুয়েকে ম্যাচে রাখেন ব্রায়ান বেনেট ও ডিয়ন মায়ার্স। মায়ার্সকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন নবি। ২৯ বলে ৩২ রান করেন মায়ার্স।
অধিনায়ক সিকান্দার রাজা ৫ বলে ৯ রান করেই আউট হন নাভিনের বলে। ওপেনার বেনেট আউট হন ৪৯ বলে ৪৯ রান করে। তারপর রায়ান বার্লও বিদায় নেন দ্রুতই। ৭ বলে ১০ রান করেন তিনি। তবে জিম্বাবুয়েকে জয়ের পথে রাখেন টাশিঙ্গা মুসিকিয়া। ১৩ বলে ১৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন তিনি।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১১ রান দরকার ছিল জিম্বাবুয়ের। মুসিকিয়া প্রথম বলেই চার হাঁকিয়ে সমীকরণ সহজ করেন। শেষ বলে ১ রান নিয়ে জয় নিশ্চিত হয় জিম্বাবুয়ের। চার উইকেটের জয়ে সিরিজ শুরু করল স্বাগতিকরা। আফগানিস্তানের হয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন নাভিন উল হক। ম্যাচসেরা হয়েছেন ব্রায়ান বেনেট।