রাশিয়ার প্রধান দুই তেল কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

৪ সপ্তাহ আগে
রাশিয়ার বৃহত্তম দুই তেল কোম্পানি রোজনেফ্ট ও লুকঅয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে ‘শান্তি আলোচনায় যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানানোয়’ বুধবার (২২ অক্টোবর) এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করা হয়।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছেনে, রাশিয়ার প্রধান অর্থকরী জ্বালানি খাতকে লক্ষ্য করে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য হলো যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ক্রেমলিনের রাজস্ব সংগ্রহের সক্ষমতা হ্রাস করা।

 

একই সঙ্গে ইউক্রেনে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন স্কট বেসেন্ট। বলেছেন, ‘এখনই হত্যাকাণ্ড বন্ধ এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরেকটি যুদ্ধ শেষ করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে প্রয়োজনে অর্থ মন্ত্রণালয় আরও পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।’

 

ইউক্রেন ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে পরিকল্পিত দ্বিতীয় বৈঠক স্থগিত করার মাত্র একদিন পরই এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হলো। ইউক্রেনে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে প্রত্যাখ্যান করার পরই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। 

 

আরও পড়ুন: পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া শুরু করল রাশিয়া!

 

এর আগে যুক্তরাজ্যও একই পদক্ষেপ নেয়। গত ১৫ অক্টোবর রোজনেফট ও লুকওয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সরকার।

 

রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া শুরুর কয়েক ঘণ্টা পরই এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো। বুধবার নতুন শক্তি প্রদর্শনের অংশ হিসেবে ক্রেমলিন একটি ভিডিও প্রকাশ করে। তাতে দেখা যায়, রাশিয়ার সেনাপ্রধান জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে মহড়ার খবরাখবর জানাচ্ছেন।

 

রাশিয়া জানিয়েছে, তারা স্থল, সাবমেরিন ও বিমানের লঞ্চার থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এসবের মধ্যে এমন পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের দূরপাল্লার ‘টু-২২এম৩’ কৌশলগত বোমারু বিমান বাল্টিক সাগরে চক্কর দিয়েছে। চক্করের বিভিন্ন সময়ে বিদেশি, সম্ভবত ন্যাটোর যুদ্ধবিমান তাদের বোমারু বিমানকে অনুসরণ করেছে। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন