রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিতে একমত ইউরোপীয় নেতারা

৩ সপ্তাহ আগে
ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন ইউরোপীয় নেতারা। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) প্যারিস শীর্ষ সম্মেলনে তারা কিয়েভের প্রতি সমর্থন নিশ্চিত করেন। এ সময় তারা একমত হয়েছেন যে, এখনই রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সময় নয়।

বৃহস্পতিবার সম্মেলনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, দুই ডজনেরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে একমত হয়েছেন যে, ইউক্রেনে জোরালোভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত মস্কোর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা উচিত নয়।

 

ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য এই সম্মেলনকে ‘কোয়ালিশন অফ দ্য উইলিং’ বলে অভিহিত করেছে। বৃহস্পতিবার তার তৃতীয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। এই বৈঠকে আশংকা করা হয়েছিল যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়াকে আংশিক যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত করার জন্য কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে পারেন।

 

আরও পড়ুন:মোদির ডাকে সাড়া, ভারত সফরে যাচ্ছেন পুতিন

 

শীর্ষ সম্মেলনের পরে ম্যাক্রোঁ বলেন, ইউক্রেনের সাহস ছিল ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়ার। 

 

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করার বিষয়টির সুস্পষ্ট কারণ আছে। 

 

এছাড়া কীভাবে রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে মার্কিন উদ্যোগকে সমর্থন করে আরও নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে।


শীর্ষ সম্মেলনের পর ব্রিটিশ দূতাবাসে সাংবাদিকদের স্টারমার বলেন, রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করা, রাশিয়ার জ্বালানি রাজস্বের উপর চাপ সৃষ্টিকারী নতুন কঠোর নিষেধাজ্ঞা ত্বরান্বিত করা এবং এই চাপকে কার্যকর করতে একসাথে কাজ করা জরুরি। 

 

এদিকে স্টারমার নিশ্চিত করেছেন যে ফরাসি, ব্রিটিশ এবং জার্মান সেনাপ্রধানরা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য কিয়েভে যাবেন। 

 

একটি নতুন ইউক্রেন প্রতিরক্ষা যোগাযোগ গোষ্ঠীর সাথে বৈঠক করবেন। যাতে আরও সামরিক সহায়তা জোরদার করা যায় এবং ইউক্রেনকে যুদ্ধে টিকিয়ে রাখা যায়।

 

তবে ইউক্রেনে ইউরোপীয় সৈন্যদের সম্ভাব্য মোতায়েনের বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

 

আরও পড়ুন:জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকবে: মস্কো


এ বিষয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেন, ইউক্রেনের ‘বেশ কিছু’ ইউরোপীয় মিত্র ইউক্রেনে সেনা মোতায়েনের পক্ষে তবে অন্যরা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সেনা মোতায়েনে অনিচ্ছুক।

 

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন