রাতভর বৃষ্টিতে নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ কোরিয়ার দাবানল

৩ সপ্তাহ আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটা এলাকায় দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে কর্তৃপক্ষ। রাতভর বৃষ্টি ও ঠান্ডা আবহাওয়া বড় বড় দাবানলগুলো নেভাতে সাহায্য করেছে। দেশটির বনমন্ত্রীর বরাতে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

গত শুক্রবার (২১ মার্চ) দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংনাম প্রদেশের সানচেংয়ের একটি পাহাড় থেকে দাবানলের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর দেশজুড়ে ৩০টিরও বেশি দাবানল ছড়িয়ে পড়ে।

 

ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বলছে, ছড়িয়ে পড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে ৯ হাজারেরও বেশি দমকলকর্মী এবং ১০৫টি হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়। তবে এক সপ্তাহের চেষ্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি আগুন।

 

অতি শুষ্ক আবহাওয়ায় প্রবল বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই দাবানলে ৪৫ হাজার হেক্টর (১ লাখ ১১ হাজার একর) এরও বেশি বনভূমি পুড়ে গেছে এবং কমপক্ষে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন দমকলকর্মীও রয়েছেন। আরও অন্তত ৩৭ জন আহত হয়েছেন।

 

আরও পড়ুন: মিয়ানমারে ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা

 

দাবানলে একটি প্রাচীন মন্দির ধ্বংস হয়েছে এবং প্রায় ৩৭ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আগুনের কারণে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

 

এমন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) আশির্বাদ হয়ে আসে বৃষ্টির পানি। রাতভর বৃষ্টিপাত ও ঠান্ডা আবহাওয়ার ফলে পাঁচটি অঞ্চলে প্রধান প্রধান দাবানলগুলো নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন বনমন্ত্রী লিম সাং-সিওপ।

 

মন্ত্রী জানান, বৃষ্টিপাত ও উন্নত আবহাওয়ার কারণে আরও বেশি হেলিকপ্টার উড়িয়ে পানি ছিটানো গেছে যা আগুন নেভাতে সহায়তা করেছে। মন্ত্রীর কথায়, ‘বড় দাবানলগুলো নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এখন আমরা ছোট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করব।’

 

আরও পড়ুন: মিয়ানমারে ভূমিকম্পে ২০ জনের মৃত্যু, আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন

 


 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন