রাজনৈতিক এলিটদের মাধ্যমে স্বৈরাচারের দোসররা ভারতে পালিয়েছে: দুদক চেয়ারম্যান

৩ সপ্তাহ আগে
সময়ের সাথে দুনীর্তির ধরণ পরিবর্তন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘যতই দিন যাচ্ছে, ততই দুনীর্তি বাড়ছে, দুনীর্তির ধরণ পরিবর্তন হচ্ছে। মানুষ পারাপার করেও টাকা আদায় করা যায়, দুনীর্তি করা যায় তা এই যশোরে এসে শুনলাম।

তিনি বলেন, স্বৈরাচারের দোসর ও বিভিন্ন মামলার আসামি যশোরের রাজনৈতিক এলিটদের মাধ্যমে ভারতে পার হয়েছে এবং হচ্ছে। এতে রাষ্ট্রের প্রত্যাশা বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ধরণের ঘটনা যাতে না ঘটে সেটা খেয়াল রাখতে হবে।


রোববার (২৬ অক্টোবর) যশোর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে গণশুনানির সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।


দুর্নীতির কারণেই বিগত সরকারের পতন হয়েছে উল্লেখ করে দুদকের চেয়ারম্যান বলেন, সামনে নির্বাচন, সুষ্ঠু ও আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচন হবে। এজন্য সবার নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। দেশটাকে ভালো রাখতে সৎ প্রার্থীকে বাছাই করতে হবে। আমরা যদি ১৫ বছরের ইতিহাস দেখি, সরকারের রন্ধে রন্ধে ছিলো দুনীর্তি। বিগত সরকারের এই অবস্থা হওয়ার পিছনে ছিলো দুর্নীতি। ফলে দুনীর্তিগ্রস্তকে বেছে নিবেন না। সেটিই হবে রাষ্ট্রের প্রতি সুবিচার। আশাকরি যশোর থেকেই এ যাত্রাটা শুরু হবে।


আরও পড়ুন: আতিউর ও বারাকাতসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দুদকের


জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহযোগিতায় দুর্নীতি দমন কমিশন যশোরের আয়োজনে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী। শুনানি পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম।


শুনানিতে জেলার সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ৩৭টি দপ্তরের ৭৫ টি অভিযোগের উপর শুনানি গ্রহণ করা হয়। শুনানি শেষে কিছু বিষয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ ও কিছু বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন দুদক চেয়ারম্যান।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন