রোববার (১১ ম) সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, ওই নারীর শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মারা যাওয়া নারীর ভাই মো. ছবদুল্লাহ শেখ জানান, তাদের বাড়ি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার পেলাখালি বড়বাড়ি গ্রামে। বাবার নাম মৃত শাহাদত শেখ। তার বোন, স্বামী আবু সাঈদ ও দুই সন্তান নিয়ে তুরাগ থানাধীন ১৫ নম্বর সেক্টর এলাকায় নজরুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তাদের ছেলে সোহাগ রিকশা চালায়। আর একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ ৩
তিনি আরও জানান, তার বোন জামাই আবু সাঈদ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজ করতেন। আবার একদিন কাজ করলে দুইদিন কাজে যেতেন না। নেশাগ্রস্ত ছিলেন তিনি। এসব বিষয় নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হত। গত বুধবার (৭ মে) রাত ১০টার দিকে আবু সাঈদ স্ত্রী রিজিয়ার কাছে টাকা চান। এ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে আবু সাঈদ ঘরে থাকা কেরোসিন স্ত্রী রিজিয়া বেগমের শরীরে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নিভিয়ে ফেলেন এবং তাকে দ্রুত বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন। এলাকাবাসী আবু সাঈদকে ধরে পুলিশে দেয়।
তুরাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) উজ্জল মিয়া বলেন, গত বুধবার পারিবারিক কলোহের জেরে স্বামী আবু সাঈদ (৫০) স্ত্রী রিজিয়া বেগমের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে মারা যান ওই নারী। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জের গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ দুইজনের মৃত্যু
এসআই আরও বলেন, ঘটনার দিনই স্বামী আবু সাঈদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
]]>