রাজধানীজুড়ে তারের জঞ্জাল, বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি

১ সপ্তাহে আগে
রাজধানীতে তারের জঞ্জাল যেন দিন দিন বাড়ছেই। বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে অলিগলি সবখানে অগোছালোভাবে ঝুলছে তার। নগরবাসী বলছে, একটি দৃষ্টিনন্দন আধুনিক নগরী গড়ার ক্ষেত্রে এই তার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও। এমন অবস্থার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তরা দায় চাপাচ্ছেন একে অন্যের ঘাড়ে। এই যখন পরিস্থিতি তখন প্রশ্ন উঠেছে, ঢাকাজুড়ে তারের জঞ্জাল আর কতকাল?

ঢাকার অলিগলি কিংবা রাজপথে বিদ্যুতের খুঁটিতে ঝুলে আছে অসংখ্য তার। বিদ্যুতের লাইনের পাশাপাশি স্যাটেলাইট টিভির ক্যাবল, ইন্টারনেট ও টেলিফোনের তার অগোছালোভাবে ঝুলছে সবখানে। এতে নগরীর সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে তো বটেই, ঘটছে অনাকাঙিক্ষত দুর্ঘটনাও।

 

সিটি করপোরেশনের তথ্য বলছে, বৈদ্যুতিক সংযোগ বাদে ইন্টারনেট সংযোগের ব্রডব্যান্ড লাইন ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ, ক্যাবল নেটওয়ার্ক ১৫ থেকে ২০ শতাংশ এবং অন্যান্য তার রয়েছে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ।

 

নানা সময়ে উদ্যোগ নেয়া হলেও তারের জঞ্জাল থেকে মুক্ত হচ্ছে না রাজধানী। এতে ক্ষোভ জানিয়েছেন নগরবাসী। তারা বলছেন, দেখতে খুবই বিশ্রি লাগে। এছাড়া যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

 

আরও পড়ুন: খুলনাজুড়ে তারের জঞ্জাল

 

এদিকে একে অন্যের দিকে অভিযোগের তীর ছুঁড়ে এ সমস্যার দায় এড়ানোর চেষ্টা করছেন দায়িত্বপ্রাপ্তদের।

 

এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদার সময় সংবাদকে বলেন, 

২০২০ সালে এ বিষয়ে একটি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। ওই পদক্ষেপে তাদেরকে বলা হয়েছিল, দ্রুত এগুলো না সরালে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু সেটা আমরা ধরে রাখতে পারিনি। একটা পর্যায়ে তারা কর্মবিরতিতে চলে যায়। এতে করে নাগরিকরা কিছু সময় ওই সেবা থেকে বঞ্চিত হন।

 

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘বিটিআরসি বা সরকার আমাকে লাইসেন্স দিয়েছে প্রায় ৩ হাজারের মতো। এখন ৩ হাজার লাইসেন্স ওপর দিয়ে যাবে নাকি তলদেশ দিয়ে যাবে, সেটা কিন্তু আমাকে বলে দেয়া নেই। ১০০ বা ২০০ কোম্পানি একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যে সেবাটা দিতে পারবে, এর জন্য বিটিআরসির একটা অনুমোদন সাপেক্ষে আমরা এ ক্যাবলগুলো নামাতে পারি।’

 

আরও পড়ুন: স্টারলিংকের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু

 

তবে এ বিষয়ে কয়েক দফা চেষ্টা করা হলেও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন