সোমবার (৫ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকসু ভবনের সামনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে ছাত্রসমাজ যেকোনো গণতান্ত্রিক কর্মসূচি গ্রহণে প্রস্তুত রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এ সময় ছাত্র নেতারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের ৯ দফা দাবির অন্যতম প্রধান দাবি ছিলো দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দ্রুত আয়োজন ও লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির অবসান ঘটানো।
আরও পড়ুন: রাবিতে রাকসু নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ
এই দাবির মূল লক্ষ্য ছিল ছাত্রসমাজকে ইতিবাচক গণতন্ত্র চর্চায় সম্পৃক্ত করা এবং জাতীয় রাজনীতিতে নেতৃত্বের মাধ্যমে জাতীয় সংকট দূর করা। তবে সম্প্রতি রাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন অংশের কার্যক্রম ও দৃষ্টিভঙ্গি ছাত্রদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ বলেও উল্লেখ করেন তারা। এতে সব আশঙ্কার অবসানে, আগামী ৩ দিনের মধ্যে নির্বাচনের জন্য খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, ২৮ এপ্রিলের পরে ভর্তি হওয়া কোনো শিক্ষার্থীকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করা।
আরও পড়ুন: দ্রুত রাকসু নির্বাচন চান তারা
রাকসু নির্বাচনের নির্ধারিত সময়সূচি মেনে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা ও রাকসুর নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা, আগামী ৭ দিনের মধ্যে সব স্টেইকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করে রাকসুর তফসিল ঘোষণাসহ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বহিরাগত বাইক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ও বহিরাগত প্রবেশ সীমিত করার দাবি জানান ছাত্রনেতারা।
মূলত, গেল ১৩ এপ্রিল রাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি প্রকাশ ও ২৮ এপ্রিল খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের কথা ছিলো। তা না হওয়াকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।